মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ ভ্রমণ এক ভিসায়
ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভ্রমণের শেনজেন ভিসার মতো উপসাগরীয় দেশগুলোতেও একক ভিসা চালু হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হচ্ছে এই ‘জিসিসি ট্যুরিস্ট ভিসা’ বা ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর’। খালিজ টাইমস জানিয়েছে, এই ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সৌদি আরবে ভ্রমণের সুযোগ থাকবে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উপসাগরীয় দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার সময় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর’ ভিসা চালু হতে পারে এ বছরের শেষ নাগাদ। তাদের সেই আলোচনার পরেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো এরই মধ্যে বিভিন্ন প্যাকেজ সাজিয়ে ফেলেছে।
এ ভিসার মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশগুলোর পর্যটনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করেন ট্রাভেল টেকনোলজি কোম্পানি এক্সপেডিয়ার গ্লোবাল মার্কেট ভাইস প্রেসিডেন্ট রেহান আসাদ। তিনি বলেন, ইউরোপ যখন শেনজেন ভিসা চালু করেছিল, তখন সেটি ওই অঞ্চলের পর্যটন খাতকে প্রসারিত করে। বিভিন্ন দেশে মানুষকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের সুযোগ দেয় শেনজেন ভিসা।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানুষ সৌদি আরব ও ওমান ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। বিপরীতে এ দুটি দেশের মানুষ আরব আমিরাত ভ্রমণ করতে ভালোবেসে। তাই এই নতুন ভিসা আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ ও পর্যটনকে আরও বাড়াবে। তবে মানুষ কী চায়, তা বুঝতে সমীক্ষা চালানোর কথা বলেছেন মার্কিন কোম্পানি এক্সপেডিয়ার কর্মকর্তা রেহান আসাদ। তার ভাষ্য, মানুষ জিসিসি সফরে সুবিধা চায়। আমরা দেখেছি, একটি পরিবার কোন দেশে ভ্রমণ করবে, কোন হোটেলে থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৮-১৪ বছর বয়সী শিশুরা।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে আরব আমিরাত ও সৌদি আরবকে অগ্রাধিকারে রেখে প্যাকেজ সাজানোর কথা জানিয়েছেন রেহান আসাদ। প্যাকেজগুলো একেবারে বাঁধাধরা হবে না বরং সুবিধা বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। জিসিসির একক ভিসাকে স্বাগত জানিয়ে ভ্রমণ কোম্পানি ‘ট্রাভেজির’ সহযোগী নির্বাহী আনাস আনান বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের জন্য এই ভিসা বিশাল সুযোগ তৈরি করবে।
আপনার মতামত লিখুন