আমার ঈশ্বর জানে

তোমাকে পাওয়ার জন্য– আমার ঈশ্বর জানে;
কতো-শত রজনী আমি তসবিহ্ গুনেছি,
প্রতীক্ষার পর প্রতীক্ষার মুহূর্ত গুনেছি
রাতের আঁধারকে ভোরে মিশিয়ে দিয়েছি–
স্বপ্ন বুনে বুনে;
আমার ঈশ্বর জানে।
একটিবার; কেবল একটিবার তোমাকে দেখার জন্য– আমার ঈশ্বর জানে;
কতো-শত মুহূর্ত আমি প্রতীক্ষায় থেকেছি,
নামে-বেনামে বায়না ধরেছি
কতো রঙে-ঢঙে উঁকি মেরেছি
শতো বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে, মুহূর্তের জন্য হলেও
তোমার ওই চোখে চোখ রেখেছি;
আমার ঈশ্বর জানে।
তোমাকে একটিবার শুনবো বলে– আমরা ঈশ্বর জানে;
কতো-শতবার আমি কান পেতে থেকেছি
প্রতিকূলতাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে,
তোমার বারান্দায় উঁকিঝুঁকি মেরেছি
অপেক্ষার পর অপেক্ষার প্রহর গুনেছি;
আমার ঈশ্বর জানে।
তোমাকে কল্পনায় পাবো বলে– আমার ঈশ্বর জানে;
কতো-শত কল্পনায় আমি ডুবে থেকেছি
তোমার চেহারার প্রতিচ্ছবিতে,
আমার নিজেকে সহস্রবার এঁকেছি
কেবল তোমার'ই রেপ্লিকা হতে চেয়েছি
আমার ঈশ্বর জানে।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে– আমার ইশ্বর জানে;
তপ্ত মরুর শ্বেত বালিকায়
কতোটা পথ আমি একা হেঁটেছি
কেবল'ই তোমায় খুঁজে ফিরেছি,
অতঃপর আমি খুঁজে ফিরেছি
আমার ঈশ্বর জানে;
তোমায় কতোটা খুঁজে ফিরেছি।
আমার ঈশ্বর জানে;
তোমায় কতোটা ভালোবেসেছি।
আপনার মতামত লিখুন