কর্মজীবন নিয়ে একজন চিকিৎসকের উপলব্ধি

জলপাই রঙে অনেক কষ্ট। জলপাই রঙে অনেক অনিশ্চয়তা। মায়ের ভাষায়, জলপাই রঙে রাজকীয় বন্দি জীবন। তাও কেন জানি জলপাই রঙ আমাকে বারবার আকর্ষণ করে।
আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে ২৫তম ডিএসএসসি (স্পেশাল পারপাস)-এএমসি কোর্সে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। ১০ সপ্তাহের বিএমএ (ভাটিয়ারি) ট্রেনিং সমাপ্তে “মেজর” (গ্রেড-৫) পদে কমিশন এবং ৪ বছরের সিনিয়রিটি প্রদান করা হবে।
আমার বাবা সকালে বলেন জয়েন করো, রাতে বলে প্রশ্নই আসে না। জয়েন করতে পারবা না। মিলিটারি ট্রেনিংয়ে যোগদানের সময় বাবার বন্ড সাইন জমা দেয়া লাগবে। বাবা সন্ধ্যায় বলেন, কাগজ পাঠাও, সাইন করে দেব। আবার রাতে বলেন, আমাকে কোন কাগজ পাঠাবে না। আমি তোমাকে যেতে দেব না, সাইন তো করবোই না।
সত্যি কথা বলতে, সিভিল জীবনে ৮ বছর চাকরি করে মেডিকেল অফিসার পদের (৯ম গ্রেড) উপরে উঠতে না পারার অপ্রাপ্তি থাকলেও কোথায় যেন স্বাধীনতা আছে।
আবার জলপাই রঙে আপাত সোনার খাঁচার বন্দি জীবন হলেও আলাদা চ্যালেঞ্জ নেয়ার এবং নিশ্চিন্ত জীবন যাপনের সুবর্ণ সুযোগ আছে। সেই সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হওয়ার হাতছানি।
এক কথায় আমার বর্তমান উপলব্ধি, 'বাহির বলে দূরে থাকুক, ভিতর বলে আসুক না।'
লেখক: চিকিৎসক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
[লেখাটি ডা. যোবায়ের আনম চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া]
আপনার মতামত লিখুন