রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গাঁও গেরাম

বাঁশের তৈরী মই বিক্রি করে সংসার চলে নাজিমের

আরিফুর রহমান, সুবর্ণচর(নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
১৫ জানুয়ারি ২০২৪

বাঁশ দিয়ে মই তৈরী করে ও তা বাজারে বাজারে বিক্রি করে সংসার চলে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ধাঁনেরশীষ গ্রামের মো. নজিম উদ্দিনের। প্রায় দেড় যুগ যাবৎ বাজার থেকে বাঁশ কিনে তা দিয়ে নিজেই মই তৈরী করে উপজেলার বিভিন্ন  বাজারে হাটের দিন বিক্রি করে আসছেন নাজিম।

এতে যে মুনাফা হয় তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছে নাজিম উদ্দিন। তার বয়স এখন ৪৫ বছর, মাঝে মাঝে অসুস্থ্যতার কারনে কাজ করতে পারেন না। তিনি সহ চার সদস্যের সংসার চলে এ মই বিক্রিতেই। এক সময় এ বাঁশের মই এর চাহিদাও ছিল বেশ এবং আয়রোজগারও হতো ভাল। বর্তমানে কালের লাঙ্গলের চাষাবাদের কারনে গবাদি পশু গো-মহিষের চাষাবাদ নেই বললেই চলে। আর এতে মইয়ের ব্যবহারও কমে গেছে। আগের মতো মইয়ের চাহিদাও নেই।

এক সময় গরু মহিষের মাধ্যমে চাষাবাদের কালে বাঁশের মইয়ের বেশ চাহিদা ছিল। সে সময় কৃষকের ঘরে ঘরে মই থাকতো। বর্তমানে তা আর নেই। আগেকার দিনে গরু মহিষের সাহায্যে জমিতে মই দেওয়া হতো। কিন্তু এখন কোনো কোনো কৃষক নিজেরাই মই টেনে জমি সমান করে আবার কেউ কলের লাঙ্গলের পিছনে মই বেঁধে দিয়ে জমিতে মই দিয়ে থাকে। ফলে এখন খুব কম সংখ্যক কৃষকের বাড়িতে মই দেখা যায়।

আবার একজনের মই দিয়েই কয়েকজন কৃষকের কাজ চলে। ফলে দিন দিন মইয়ের চাহিদা কমে যাচ্ছে। তার পরও নাজিম তার মই বিক্রির পেশা আকড়ে রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি বাঁশের তৈরী মই মান ভেদে ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মইয়ের দামও বেড়ে চলেছে। ২/৩ বছর পূর্বেও যে মই ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো তো তখন ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) স্থানীয় ছমির হাট বাজারে মই ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেই বাজার থেকে বাঁশ কিনে মই তৈরী করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতি হাটবার মই বিক্রি করেন তিনি। এভাবে বছরের ৩-৪ মাস অর্থাৎ কর্তৃক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত মইয়ের ব্যবসা করে থাকেন।

নাজিম আরও বলেন, এদিয়েই আমি আমার স্ত্রী, ২সন্তানসহ সংসার কোনো রকমে চালিয়ে আসছি। আমার নিজের কোনো জমিজমা নেই। এ পেশার পাশাপাশি অন্যেও ২-৩ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে থাকি।


ওয়ালটন প্লাজার নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন, পণ্য কেনায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
রমজানে সরকারের সুলভমূল্যের বাজারে মাংস-দুধ দেবেন খামারিরা

আপনার মতামত লিখুন