বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন ঢাকার সূচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুলাই ২০২০

অনেক দিন থেকেই ওয়ালটনের এসি-টিভি ব্যবহার করছেন ঢাকার গৃহিনী সূচনা রহমান। নতুন একটি ফ্রিজ প্রয়োজন হলে তিনি এবারও আস্থা রাখেন দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডের ওপর। ওয়ালটন থেকে পছন্দের ফ্রিজ কিনেই তাজ্জব বনে যান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন সেভেন-এ তিনি হয়ে গেলেন মিলিয়নিয়ার। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার কিছুটা দান করবেন। বাকিটা তিন মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করবেন।

বুধবার (২২ জুলাই, ২০২০) রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের মিরপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার অতনু রায় এবং ক্রেডিট মনিটরিং তাপস রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।

এ নিয়ে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ছয়জন ক্রেতা। বাকি পাঁচজন হলেন—গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক, রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রণজিত চন্দ্র রায় এবং চট্টগ্রামের মাছচাষী নাজিম উদ্দিন।

সূচনা রহমান জানান, তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পড়াশুনা শেষে কিছুদিন চাকরি করলেও বর্তমানে পুরোপুরি গৃহিনী। স্বামী দেশের বাইরে। তিন মেয়ে নিয়ে দক্ষিণ কাফরুলে থাকেন তিনি। বাসায় ব্যবহৃত ফ্রিজটি পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন একটি ফ্রিজ কেনার প্রয়োজন হয়। চার বছর ধরে ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন। গত বছর ওয়ালটন এলইডি টিভি কিনেছেন। সব পণ‌্যই দারুণ সার্ভিস দিচ্ছে। তাই নতুন ফ্রিজের জন্য সোজা চলে যান মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ালটন প্লাজায়। গত ১৩ জুলাই সেখান থেকে ২৫ হাজার ২১০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পান তিনি।

সূচনা বলেন, ‘ফ্রিজটি যখন ভ্যানে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, তখনই আমার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসে। দেখি, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আমি ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। কিন্তু বিষয়টা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এরমধ্যে শোরুমের ম্যানেজার যখন বলেন, আপা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আপনি মিলিয়নিয়ার হয়েছেন, তখন খুবই অবাক হয়েছি। একই সঙ্গে খুব খুশিও হয়েছি। কারণ, ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনে এমন কিছু পাওয়া যায় বলে আমার জানা ছিল না। ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে তাদের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম ১০ হাজার ৯৯০ থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজিসমৃদ্ধ ফিথালেটমুক্ত গ্যাসকেট, হানড্রেড পার্সেন্ট কপার কনডেনসার, ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন। ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। নগদ মূল্যের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ আছে।

সম্প্রতি কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে এই প্রথম এ প্রযুক্তির ফ্রিজার বাজারে এলো। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করেছে ওয়ালটন।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিক মানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।

মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা পেলেন নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী
ঈদে চাহিদার শীর্ষে মার্সেলের গ্লাস ডোর ফ্রিজ

আপনার মতামত লিখুন