শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটন পণ্যই আমাদের নির্ভরতা: সাইমন সাদিক

 এম মাহফুজুর রহমান
১৩ জুলাই ২০২১

মাল্টিন্যাশনাল সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। দেশসেরা ব্র্যান্ড। দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স মার্কেট পণ্যের লিডার। বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। দেশীয় কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইমন সাদিক। ২০১২ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘জ্বী হুজুর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান তিনি। উপহার দিতে থাকেন একের পর এক দর্শক নন্দিত সিনেমা। ২০১৮ সালে ‘জান্নাত’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাংলা চলচ্চিত্রের এই অভিনেতা ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। ওয়ালটনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম নিয়ে ঘুরছেন শহর থেকে গ্রামে। তিনি দেখেছেন ওয়ালটনের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চলছে ওয়ালটনের ‘মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন- ১১ এর আওতায় এই ফেস্টিভ্যালে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, গ্যাস স্টোভ ও রাইস কুকার ক্রেতাদের জন্য রয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারের সবচেয়ে বড় সুযোগ। এখন ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া, পণ্যভেদে আছে ফ্রি ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ অসংখ্য সুবিধা। এই সিজনে এখন পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার বা ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন ৫ ক্রেতা। তারা হলেন, আড়াইহাজারের পোশাক শ্রমিক সেলিম মিয়া, রাজবাড়ীর দর্জি হানিফ সরদার, নীলফামারীরর জলঢাকার মাজেদুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার কামাল আলী ও নোয়াখালীর মাসুদের রহমান।
দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতাদের হাতে চেক তুলে দিয়েছেন সাইমন সাদিক। এসময় দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন তিনি। দেশীয় পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্ববোধ করেন বলেও জানান এই অভিনেতা।
তিনি বলেন, দেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের বিশাল অংশ ওয়ালটনের দখলে। ওয়ালটন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে। এসব কারণে ওয়ালটন নিয়ে গর্ব করতে পারেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। সারাদেশে ছড়িয়ে আছে ওয়ালটনের শোরুম। ঘরের পাশের শোরুম থেকেই কিনতে পারছেন পছন্দের পণ্যটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা আজ গর্বের সঙ্গে ওয়ালটন নিয়ে বলতে পারেন- ‘আমাদের পণ্য, এটি আমাদের দেশে উৎপাদিত হচ্ছে’। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্বের সঙ্গে কাজ করছে ওয়ালটন। এছাড়া, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী আকর্ষণীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা।
তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে ওয়ালটন। তারা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশকে যেভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সেটি যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গর্বেরও। সারাবিশ্বে ওয়ালটন দেখিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান অনেক ভালো হতে পারে। ওয়ালটনের ওপর মানুষের আস্থা অনেক মজবুত। কোনো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি এই আস্থা আমাদের আশান্বিত করে।
‘পোড়ামন’ সিনেমার এই অভিনেতা বলেন, বিশ্বের অন্যত্র তৈরি যেসব পণ্য আমাদের দেশে আমদানিকারকরা আনেন সেগুলো বাদ দিয়ে দেশে তৈরি ওয়ালটনের এসব পণ্যের দিকে দিন দিন ঝুঁকছে মানুষ।
তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য আমাদের নির্ভরতার একটি জায়গা দিয়েছে। সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তারা। নিত্য দিনে একটি পরিবারে যা কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রয়োজন; এর সবই তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী ওয়ালটনের সব সেলস আউটলেটে। একসময় একটি ভালো মানের টিভি আনতেও মানুষকে ঢাকা যেতে হতো। এখন বাড়ির কাছেই ওয়ালটন শোরুম। সব ধরনের আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী সহজেই কেনা যাচ্ছে ওয়ালটনের এসব শোরুম থেকে।
ওয়ালটন কখনো কোনো ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করে না জানিয়ে সাইমন সাদিক বলেন, ওয়ালটন পণ্য কেনায় নানা সুবিধা দিচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতা যে সুবিধা পাচ্ছেন সেই সুবিধা সেই ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে আনুষ্ঠানিকভাবে। ওয়ালটন এই স্বচ্ছতার উদাহরণ হয়ে আছে সারাদেশে। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে ওয়ালটন। ব্যবসায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখছে তারা।

৩ হাজার ট্যুরিস্ট গাইড বেকার
করোনায় বিপর্যস্ত পর্যটনশিল্প

আপনার মতামত লিখুন