শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

কক্সবাজারে চলছে ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মার্চ ২০২২

২৫টি মেঘা প্রকল্পসহ পর্যটন শহর কক্সবাজারে চলছে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প। চলমান এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় একটি অংশ যোগ হবে এ কক্সবাজার থেকে।

এতে করে শুধু কক্সবাজার নয়, পাল্টে যাবে দেশের চেহারা। এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বৈশ্বিকভাবেও গুরুত্ব বাড়ছে বাংলাদেশের। জাতিসংঘ ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে। এই স্বীকৃতি উদযাপনে সমুদ্রের শহর কক্সবাজার এখন উৎসব মুখর।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ শিরোনামে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

অতিথিদের আগমনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি ড. আহমদ কায়কাউস। ইতোমধ্যে তারা কক্সবাজার অবস্থান করছেন।

এছাড়া উপস্থিত থাকবেন- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আটজন সচিব, বিভাগ ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প, কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনা, আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং স্থানীয় নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ২ জানুয়ারি রাজধানীতে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এরপর সর্ব প্রথম কক্সবাজার জেলায় এই উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ২৫টি মেগাপ্রকল্পসহ ৯৮টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সে সব উন্নয়নের বার্তা তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছাতে  এ আয়োজন।

কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে বিচ ইনানী, রামুর বৌদ্ধ বিহারসহ পর্যটনে অপার সম্ভাবনার হাতছানি এই কক্সবাজারে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কক্সবাজারে চলছে রেললাইন, ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ,গভীর সমুদ্র বন্দর, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৫টি মেগা প্রকল্পসহ ৭৭টি কাজ। যা এক বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের মোট বরাদ্দ দেওয়া অর্থের দেড় গুণ। যা বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে কক্সবাজারের চেহারা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পর্যটনে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে, দেশি-বিদেশি পর্যটেকের পদচারনায় মুখর হবে, কক্সবাজারের জন্য বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে এ রকম একটি স্বপ্নে বিভোর ছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজারে বর্তমানে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। যা এক বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারের মোট বরাদ্দ দেওয়া অর্থের দেড় গুণ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজারই হবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী এবং অন্যতম অর্থনৈতিক অঞ্চল।

যা বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই কক্সবাজার হবে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরের মতো। এখানে বিদেশিদের জন্য করা হবে আলাদা জোন। তখন বিদেশিরা থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর ভ্রমণে না গিয়ে আসবে কক্সবাজারে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের উন্নয়নে বরাবরই আন্তরিক এ কথা জানিয়ে সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজারে চলছে ২৫টি মেঘা প্রকল্পসহ তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প। আমাদের স্থানীয়দের জন্য এটি কম গৌরবের বিষয় নয়। আমরা কক্সবাজারবাসী সুন্দর আলো ঝলমল একটি আগামীর জন্য অপেক্ষা করছি।

ওয়ালকার্টে ওয়ালটন টিভিতে ৮ শতাংশ ছাড়সহ আকাশ সংযোগ ফ্রি
সুবর্ণ ব্লাড ব্যাংকের নতুন কমিটি গঠন, সভপতি জিকু, সম্পাদক মিনহাজ

আপনার মতামত লিখুন