বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা দ্বীপচরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
০৬ অক্টোবর ২০২২

পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গড়ে উঠছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বেশ কিছু দ্বীপচর। এসব দ্বীপচরে সমুদ্র সৈকত, বনসহ বিভিন্ন রয়েছে পশুপাখির সমাহার। তবে চরে যাতায়াত, আবাসন ও খাবারের সুযোগে-সুবিধা না থাকায় এগুলো পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি পায়নি। এরপরও স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণ পিয়াসুরা এসব চর ভ্রমণে যাচ্ছেন।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে ভাড়ায় চালিত ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে করে চর হেয়ার, সোনারচর, জাহমারা, চর তুফানিয়া ভ্রমণ করা যায়। এসব জনমানবহীন চরে দেখা মিলবে বিভিন্ন ধরনের কাঁকড়া, ম্যানগ্রোব ফরেস্ট, নানা রঙের প্রজাপতি আর দেশি-বিদেশি পাখিদের অবাধ বিচরণ। ভাগ্য ভালো হলে দেখা মিলতে পারে হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণীর। যা সহজেই পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এছাড়া সমুদ্র ভ্রমণের চলতি পথে সাগরে জেলেদের মাছ শিকারের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাও অর্জন করার সুযোগ রয়েছে এখানে।

কাজী সুমাইয়া নামের এক পর্যটক জানান, প্রকৃতি কতটা সুন্দর হতে পারে সেটা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না। ভ্রমণের মাঝে সব থেকে বেশি ভালো লাগে জেলেরে মাছ শিকারের দৃশ্য দেখে। নিজের চোখে দেখছি জালে ইলিশ উঠছে। এছাড়া চর হেয়ারের সমুদ্র সৈকতটি একেবারে পরিচ্ছন্ন। তেমন কোনো মানুষের উপস্থিত নেই। সাগর পাড়েই জেলেরা জাল তুলে মাছ ধরছেন। আবার পাশেই প্রকৃতির সাজানো গোছানো বন। তবে এসব চরে যাতায়াত করতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং ব্যয় বহুল। সরকারিভাবে কোনো যানবাহন চালু করলে সেন্টমার্টিনের মত এসব দ্বীপেও পর্যটকরা ভ্রমণের সুযোগ পেত।

এদিকে দ্বীপ চরগুলোতে আবাসনের সুযোগ না থাকলেও রাঙ্গাবালী উপজেলায় জেলা পরিষদের একটি ডাক বাংলো রয়েছে। পর্যটকরা চাইলে সহজেই এখানে আবাসনের সুযোগ নিতে পারবেন। আর এসব দ্বীপ চরগুলো ঘুরে দেখতে পর্যটকদের হাতে অন্তত দুই থেকে তিনদিন সময় নিয়ে আসতে হবে।

কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুয়াকাটার সঙ্গে একটি নৌযানের মাধ্যমে যদি এসব দ্বীপ চরগুলো ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করা যায়।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসফাকুর রহমান বলেন, চর কুকরি, সোনার চর, চর হেয়ার, তুফানিয়া ও জাহাজমারা চরকে কিভাবে একটি এক্সক্লুসিভ জোন হিসেবে কুয়াকাটার সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় সেজন্য ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। নভেম্বরে এ এলাকার পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এসব দর্শনীয় চরগুলোকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি সহজে যাতায়াতের জন্য কী যোগাযোগ স্থাপন করা যায় সে বিষয় করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বাজারজাতে ওয়ালটন-হান চুক্তি
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

আপনার মতামত লিখুন