শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

আগামী ৫০ বছরে ব্যবহার অযোগ্য হবে বঙ্গোপসাগর

জেলা প্রতিনিধি
১৩ জানুয়ারি ২০২২
আগামী ৫০ বছরে ব্যবহার অযোগ্য হবে বঙ্গোপসাগর

আগামী ৫০ বছরে ব্যবহার অযোগ্য হবে বঙ্গোপসাগর

দেশের স্থলভাগের চেয়েও বড় সীমানাখণ্ড বঙ্গোপসাগর। দেশের সিংহভাগ মানুষ এ সাগরের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্লাস্টিকসহ নানা দূষণে আগামী ৩০-৫০ বছরে বঙ্গোপসাগর ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়তে পারে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) মিলনায়তনে ‘সমুদ্র রক্ষা, পুনর্গঠন ও টেকসই ব্যবহারের জন্য সমুদ্রস্বাক্ষর জাতি গঠনের গুরুত্ব’ বিষয়ক এক সেমিনারে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেন।

সেমিনারে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা বলেন, বর্তমানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যে সমুদ্র সংক্রান্ত কোনো বিষয় পড়ানো হয় না। অনেকে সাগর দূষণ কথাটাও মানতে নারাজ। অথচ আমাদের অজ্ঞতার কারণে সৃষ্টিকর্তার এমন অমূল্য দানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারছি না।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও মৎস্য অনুষদের ডিন ড. রাশেদউন্নবী রাফি ও নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চিফ হাইড্রোগ্রাফার শেখ মাহমুদুল হাসান।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও সমুদ্র সংক্রান্ত জ্ঞান প্রচারকারী সংগঠন অক্টোফিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইদুল ইসলাম সরকার ও ড. এনামুল হক।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মোহাম্মদ শরিফ ও ভূতাত্ত্বিক ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, অক্টোফিনের মোসাম্মত ইসরাত জাহান, সানজিলা শারমীন, হৃষিকা বড়ুয়া, ইমরান ও জাহিন প্রমূখ।

সেমিনারে বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক সমুদ্র দূষণের কারণে বঙ্গোপসাগরের পানিতে নানা ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সমুদ্র রক্ষায় একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সমুদ্র দূষণ বন্ধে পর্যটন এলাকায় ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধেরও পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা।

সেমিনারে নেকমের ব্যবস্থাপক সমুদ্র বিজ্ঞানী আবদুল কাইয়ুম জানান, পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে গত ২ বছর ধরে কক্সবাজার উপকূলে কাছিম আসছে।

ড. ওয়াহিদুল আলম বলেন, সাগরের পানিতে মাইক্রোবায়াল পলিউশন বা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গেছে। এসব কারণে পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

দিনব্যাপী এই সেমিনারে অক্টোফিনের সদস্য এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে আবারও পুড়ল রিসোর্ট
থাইল্যান্ড ভ্রমণ: বিদেশি পর্যটকদের দিতে হবে প্রবেশ ফি

আপনার মতামত লিখুন