৪টি ডায়াগনস্টিকের এক্স-রে ইউনিটে তালা ও ১টি প্যাথলজি বন্ধ
সুবর্ণচরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে জেলা সিভিল সার্জন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ব্যঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এরকম কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপচিকিৎসা ও রিপোর্টে প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা। সুবর্ণচরে ১৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ১০টিতে মনিটরিং করেন জেলা সিভিল সার্জন মাছুম ইফতেখার।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন মাছুম ইফতেখার। এ সময় অবৈধ এক্স-রে মেশিন চালু রাখায় গ্রাম বাংলা ডায়গনস্টিক সেন্টার, আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কিংস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসের এক্স-রে ইউনিটে তালা মেরে দেন জেলা সিভিল সার্জন।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ ব্যবহার ও একই ফ্রিজে অবৈধভাবে কুকুরের ভ্যাক্সিন রাখায় সাগরিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগকে সাময়িক বন্ধ করে দেয় সিভিল সার্জন। এবং কাগজপত্রে জটিলতা থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে দ্রুত কাগজ-পত্র হালনাগাদ করার জন্য বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন সুবর্ণচর শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম গোলাম রাব্বানীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
খবর পেয়ে ভূইয়ার হাট ফ্যাসিফাই ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জানান, সুবর্ণচরে বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদনের মেয়াদ নেই। এবং কিছু কিছু প্যাথলজির টেকনেশিয়ানদের সার্টিফিকেট নাই। অতিদ্রুত তারা এর সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন।
জেলা সিভিল সার্জন মাছুম ইফতেখার জানান, জনস্বার্থে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মনিটরিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সদর হসপিটালের গাইনী কনসালটেন্ট ডাঃ বাসবী রায়, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন সুবর্ণচর শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক একেএম গোলাম রব্বানী।
আপনার মতামত লিখুন