শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না

ডেস্ক রিপোর্ট
২১ জানুয়ারি ২০২২

করোনার বিভিন্ন ঢেউয়ে বিশ্বের একাধিক দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওমিক্রন আসার পরে গত নভেম্বর থেকে আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বহু দেশ।

গত বুধবার জাতিসংঘে এ বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। দীর্ঘ বৈঠকের পর তারা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে করোনাকে আটকানো সম্ভব নয়। এর ফলে কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। সংস্থাটির ভাষ্য, টিকা নিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েই মহামারী প্রতিরোধ সম্ভব। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহু বিমান সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। কোনো কোনো বিমান সংস্থা বন্ধ হওয়ার মুখে। শুধু তাই নয়, বিমান চলাচল বন্ধ থাকার জন্য দেশগুলোও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে ডব্লিউএইচও। তাদের বক্তব্য, ভ্রমণের ক্ষেত্রে দুটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। কারণ পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্যাকসিন ঠিক সময়ে পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে সবার কাছে দুটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট চাওয়া অন্যায়।

ডব্লিউএইচওর পরামর্শ, দুটি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট না থাকলে সেই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠানো হোক। নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে চাওয়া হোক। ১৪ দিন আইসোলেশনের খরচ তার কাছ থেকে নেওয়া হোক। কিন্তু তাকে কোনো দেশে ঢুকতেই দেওয়া হবে না, এ নিয়ম ঠিক নয়।

সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ গত এক সপ্তাহে ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে বুধবার ডব্লিউএইচও জানিয়েছে। তবে মৃত্যুর হার একই আছে। সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের, গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ চোখে পড়ার মতো কমেছে আফ্রিকায়।

করোনার বিভিন্ন ঢেউয়ে বিশ্বের একাধিক দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওমিক্রন আসার পর গত নভেম্বর থেকে আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বহু দেশ।

রংতুলির আঁচড়ে পাথরে প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি
পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা নিঝুম দ্বীপে

আপনার মতামত লিখুন