শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা নিঝুম দ্বীপে

আরিফুর রহমান, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)
২১ জানুয়ারি ২০২২
নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ

উত্তাল সাগরের কোলে সবুজ প্রকৃতির এক মায়াবী ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ। যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিয়াসী মানুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে অপরূপ এই সৃষ্টি। তাই তো প্রতি বছর শীত মৌসুমে মেঘনা যখন শান্ত থাকে, তখন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। এই দ্বীপকে ঘিরে দেখা দিয়েছে পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনা।

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ১১নং ইউনিয়ন নিঝুম দ্বীপ। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। প্রায় ১৪ হাজার ৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০ সালের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৫০ সালে জনবসতি গড়ে ওঠে। দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এবারও ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। 

হাতিয়ার জাহাজমারা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, এখানে হরিণ, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও সি-বিচ দেখতে আসে মানুষ। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তবুও যতটা সম্ভব আমরা সহযোগিতা করি। বনে থাকা এসব হরিণ লোকালয়ে চলে আসায় বাড়তি আনন্দ পান পর্যটকরা।

একজন নারী পর্যটক বলেন, নিঝুম দ্বীপের একদম ঠিক আছে। কারণ একদমই নিঝুম মনে হলো আমার। মানুষজন খুবই কম। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছে জার্নিটা। দ্বীপের বিশাল সৈকতসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা। 

হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, নিঝুম দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস বলেন, দু’জন মন্ত্রী আমাদের এলাকায় এসেছেন, দেখেছেন এবং নিঝুম দ্বীপকে একটা আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। আমি আশা করব, অচিরেই এটার বাস্তবায়ন হবে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না
বঙ্গোপসাগর থেকে যেসব সম্পদ পায় বাংলাদেশ

আপনার মতামত লিখুন