শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

সমুদ্রসৈকত বিশ্বের মানুষ চেনে, সুন্দর ব্যবস্থাপনা করুন: ডিসিকে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে বিশ্বের মানুষ চেনে। এর সৌন্দর্য রক্ষা ও সুন্দর ব্যবস্থাপনা করার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে ভূমিকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এদিন আদালতে কক্সবাজারের ডিসি উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরম্যান্স শুধু জিরো নয়, নেগেটিভও। বারবার বলার পরও আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেননি। পর্যটন এলাকা কক্সবাজারকে বিশ্বের মানুষ চেনে। আপনি সেই জেলার ডিসি। সৌন্দর্য রক্ষায় ভূমিকা রাখলে গোটা বিশ্ব আপনাকে চিনবে। আপনি সুন্দর ব্যবস্থাপনা করুন।

এ সময় ডিসি আদালতকে বলেন, 'আমি কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এখন আদালতের আদেশ পুরোটাই বাস্তবায়ন করব। কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবনী ও কলাতলী সৈকত এলাকায় ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে চেম্বার আদালতের আদেশ থাকায় ২৩৩টি উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এখন আমি আদালতের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।'

পরে আদালত তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক আদালতে হাজির হয়ে আদেশ অমান্য করার বিষয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

আদালতে কক্সবাজারের ডিসির পক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন।

জনস্বার্থ বিবেচনায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও বিবাদীরা তা বাস্তবায়ন করেনি। এ জন্য গত ২৫ আগস্ট আদালত ডিসিসহ পাঁচজনকে তলবের পাশাপাশি রুল জারি করেন।

আশুরার বিল ছেয়ে গেছে শাপলা ও পদ্ম ফুলে
৬ থেকে ৮ নভেম্বর দুবলার চরে রাসপূজায় যেতে পারবেন শুধু পুণ্যার্থীরা

আপনার মতামত লিখুন