করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ রোধে সোনারগাঁওয়ের লোক ও কারুশিল্পীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন।

এছাড়াও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের কর্মী, মালি. নিরাপত্তাকর্মী এবং পানাম নগরীর আনসার ও গার্ডদের মাঝেও বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েস, উদীচী সোনারগাঁওয়ের সভাপতি শঙ্কর প্রকাশ এবং সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মো. শাফিউল আলম।

এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার উইনিভার্সাল কালচারাল সেন্টার (ইউসিসি)।

ইউসিসি এবং এসিসিএন এর সমন্বয়ক ড. সৌমিত্র কুমার কুণ্ডু বলেন, আমাদের মাতৃভূমিতে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সুবর্ণগ্রামের কার্যক্রমের পাশে থাকতে পেরে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করছি। আমরা বিশ্বাস করি, খুব দ্রুত দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাস থেকে উত্তরণে সক্ষম হবে।

সোনারগাঁও পৌরসভায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সোনারগাঁও পৌরসভার সঙ্গে যৌথভাবে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন বেশ কিছু কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এর মধ্যে অন্যতম কার্যক্রম হলো—বিনামূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষদের পরিবারের শিশুদের খাবার সরবরাহ এবং সোনারগাঁও পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক ছিটানো, রাস্তায় রিকশা, ভ্যান, বেবিট্যাক্সি ও মিশুকে জীবাণুনাশক ছিটানো এবং চালকদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ। গত ঈদে সোনারগাঁও পৌরসভার ৬৩টি মসজিদে ঈদের জামাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।

সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েস বলেন, আমরা সুবর্ণগ্রামের উদ্যোগে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সোনারগাঁওয়ে একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামের স্বল্প আয়ের পাঁচ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ করেছি। যতদিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।