২৭ সেপ্টেম্বরের পর সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত

বিশ্ব পর্যটন দিবস ২৭ সেপ্টেম্বর। বিগত বছরগুলোর মতোই উদ্দীপনা নিয়ে কক্সবাজারে পালিত হবে দিবসটি। এ দিবস উদযাপন দিয়েই মূলত আনুষ্ঠানিক শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। এ দিবসের পরই দেশের একমাত্র প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।
টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, প্রতি বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করেই পর্যটন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। শরতের শেষ সময়ে আবহাওয়া শীতল হওয়া শুরু হলে তখন থেকে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ে। হেমন্তের শুরুতেই প্রশাসনের অনুমোদনে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়ে থাকে। তবে চলতি বছরের জন্য এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সি-ক্রুজ অপারেটর ওনারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের কক্সবাজাস্থ সমন্বয়ক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, টেকনাফ থেকে যেসব জাহাজ সেন্টমার্টিন যাতায়াত করে তা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে জেলা প্রশাসনের সম্মতিতে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে চালু হয়। এ রুটের জাহাজের বিষয়ে এখনো নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি মিলেনি। কিন্তু কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের কর্ণফুলী ও বে-ওয়ান জাহাজের সারা বছর চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে পর্যটক স্বল্পতার কারণে মার্চের পরই চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সেন্টমার্টিনের জেটিটি ভঙ্গুর থাকায় গত বছর জেলা প্রশাসন পরিদর্শন করে অনুমোদন দেয়। জেটিটি এখন সংস্কার হয়েছে। এবারও পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দিলে অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে পারে প্রশাসন। তারা কাগজপত্র তৈরি করে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই সেন্টমার্টিনে যেন পর্যটক আনা-নেওয়া করা যায় তা নিশ্চিত করতে অনুমতির জন্য প্রচেষ্টা চলছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো কথা হয়নি, যোগাযোগও করেনি পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও।
আপনার মতামত লিখুন