শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

জ্যোতি বসুর বাড়িতে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জানুয়ারি ২০২২

ভারতের প্রখ্যাত বাম রাজনীতিবিদ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সোনারগাঁয়ের বাড়িকে ঘিরে গড়ে উঠছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে জ্যোতি বসুর পৈতৃক নিবাস সোনারগাঁয়ের বারদীর চৌধুরীপাড়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক এ পর্যটন কেন্দ্রটি। ইতিমধ্যে এ পর্যটন কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

পর্যটনবর্ষ উপলক্ষে দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকার পর্যটন উন্নয়ন সুবিধা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জ্যোতি বসুর স্মৃতিবিজড়িত তার পৈতৃক বাড়িকে ঘিরে ২ দশমিক ০৪ একর জমির ওপর চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এখানে পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দ্বিতলবিশিষ্ট একটি মোটেল। পর্যটকরা নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে এ মোটেলে থাকা-খাওয়ার সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি এ মোটেলের একটি কক্ষের নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোতি বসু স্মৃতি কর্নার। এ কর্নারে জ্যোতি বসুর বিভিন্ন সময়ের দুর্লভ ছবি ও তার স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শিত হবে। আগত পর্যটকদের জন্য এ কর্নারটি উন্মুক্ত থাকবে। মোটেলের পাশেই পিকনিক পার্টির জন্য একটি বৃহৎ আকৃতির শেড তৈরি করা হয়েছে। শেডের সামনে রয়েছে খেলাধুলার জন্য খোলা মাঠ। তাছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জ্যোতি বসুর পুরো বাড়িকে সীমানা প্রাচীরের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এ প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন সিকদার জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত এ পর্যটন কেন্দ্রটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জ্যোতি বসুর বাড়িতে একটি মোটেল, পিকনিকের জন্য শেড নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন, পর্যটকদের জন্য রেস্টুরেন্ট নির্মাণসহ জ্যোতি বসুর বাড়ির চারদিকে সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আশা করা যায় চলতি বছরই এ পর্যটন কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে।

জ্যাতি বসুর পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটন করপোরেশনের লোকজন প্রকল্পের কাজের তদারকি করছেন। পর্যটন করপোরেশন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে জ্যোতি বসুর বাড়ির এক পাশে ২০১১ সালে নির্মাণ করা হয় দ্বিতলবিশিষ্ট গ্রন্থাগার, সেমিনার কক্ষ ও জ্যোতিবসু স্মৃতি জাদুঘর। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই এটি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, এখানে জ্যোতি বসুর বাড়িকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠায় এলাকাবাসী উপকৃত হবে। অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। পাশাপাশি এখানে আগত পর্যটকরা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম ও মেঘনা নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

বাণিজ্য মেলায় সবার দৃষ্টি কাড়ছে ওয়ালটনের অল ইন ওয়ান পিসি
বাড়ি বসে কাজ করে ক্লান্ত, ঘুরে আসুন শহর ছেড়ে

আপনার মতামত লিখুন