শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

পৃথিবীর সবচেয়ে রঙিন শহর

ডেস্ক রিপোর্ট
১৮ জানুয়ারি ২০১৯

আমরা সুন্দর শহর বা শহরের সৌন্দর্য বিচার করি ভূপ্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্যশৈলী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে। এছাড়াও শুধু রঙের ব্যবহার কোনো শহরের ব্যতিক্রমধর্মী সৌন্দর্য বয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে এমন কিছু শহর রয়েছে, শুধু রঙের যাদুময়তা সকলকে মুগ্ধ করে। তেমনি এক শহর শেফশাওয়ান।

মরক্কোর উত্তর পশ্চিমে রিফ পর্বতে অবস্থিত শেফশাওয়ান। শহরটি বেশ ছোট, কিন্তু এই শহরে পা রাখলে মুগ্ধ হয়ে যায় যে কেউই। জনপ্রিয় এই পর্যটন শহরটির খ্যাতি রয়েছে এর নজরকাড়া নীল দালান আর রাস্তা-ঘাটের জন্য।

১৯৩০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইহুদিরা তাদের বাড়িগুলোকে নীল রঙে রাঙানো শুরু করে। ইহুদিদের প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এখনো পর্যন্ত তারা তাদের বাড়ি ঘর নীল রঙ করে রাখে। ইহুদি ধর্মে নীল রঙ আকাশ ও স্বর্গের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের ধারণা এই নীল রঙ মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনাকে জাগিয়ে তোলে।

তবে বর্তমানে এই শহরে মুসলমানদের সংখ্যাও প্রচুর। ইহুদিদের দেখাদেখি মুসলামরাও তাদের বাড়িঘর নীল রঙে রাঙায়। নীলে নীলাম্বরি এই শহরটি দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। আর্দ্র আবহাওয়ায় শেফশাওয়ানকে দেখলে মনে হয় যেন নীল জলের অথৈ সমুদ্র। ৪০,০০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই শহরের পরিবেশ ও অত্যন্ত শান্ত।

‘ব্লু -সিটি’ নামে পরিচিত এই শহরটি পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। ছোট এই শহরটিতে যানবাহনও খুবই কম। হেঁটেই পুরো শহর ঘুরে বেড়ানো যায়।

শহরটির মানুষের আয় এখন অনেকটা পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে। এখানকার নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরী করে ও পুরুষরা সেগুলো বিক্রি করে পর্যটকদের নিকট।

সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের জন্যও বেশ জনপ্রিয় এই শহরটি। এখানেই শেষ নয়, রাত নামলেই গোটা শহর ঢাকা পড়ে নিয়ন আলোর চাদরে। কেউ ছুটি কাটাতে চোখের জন্য আরামদায়ক কিছু চাইলে শহরটি ঘুরে আসতে পারেন।

শনিবার চার জেলায় চালু হচ্ছে ভারতীয় ভিসা সেন্টার
বদলে গেল পুরান ঢাকার আকাশের রঙ!

আপনার মতামত লিখুন