‘বালি দ্বীপে’ ফ্রি ট্যাক্সে বসবাসের সুযোগ বাংলাদেশিদের

অনলাইনে কাজ করা ব্যাক্তিদের জন্য “ডিজিটাল যাযাবর ভিসা” চালু করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এ ভিসার মাধ্যমে ৫ বছর পর্যন্ত দেশটিতে ফ্রি ট্যাক্সে বসবাস করার সুযোগ পাবেন বিদেশীরা। যাদের আয়ের উৎস ইন্দোনেশিয়ার বাইরে কেবলমাত্র তারাই এ সুযোগ পাবেন। শিগগির বাংলাদেশিদের জন্য এ ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ান সরকার।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন মন্ত্রী সানডিয়াগো ইউএনও চলতি মাসের শুরুতে জানায়, যে তিনি আশা করেন এই ঘোষণা ৩৬ লাখ প্রবাসীকে ইন্দোনেশিয়ায় আকৃষ্ট করবে । একই সাথে ১০ লাখ ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের নতুন চাকরির ব্যবস্থা করবে। তিনি আরও জানান, এই ভিসা সারা বিশ্বের স্বাধীন ঠিকাদারদের ততক্ষণ পর্যন্ত বালির মত দ্বীপে বাস করার অনুমতি দেবে যতক্ষণ তারা ইন্দোনেশিয়ার বাইরে থেকে আয় করবে।
গবেষণা অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ অনলাইন চাকরিজীবী এ সিদ্ধান্তকে ইন্দোনেশিয়ার উচ্চ মানসিকতার পরিচয় বলে আখ্যা দিয়েছে। গত বছরেই ডিজিটাল যাযাবর ভিসা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে তা পিছিয়ে যায়।
এদিকে ডিজিটাল নোমাডের মাধ্যমে আসা অনলাইন চাকরিজীবীদের জন্য বালি সবসময় একটি জনপ্রিয় জায়গা। ভিসা অন এ্যারাইভাল ৩০ দিনের জন্য বৈধ, ট্যুরিস্ট ভিসা ৬০ দিনের জন্য এবং বিজনেস ভিসা ১৮০ দিন পর্যন্ত বৈধ করা যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশি পর্যটকদের ই-ভিসা দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।
আসলে বালি-সহ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন স্থানে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। ফলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, এমন অনেকেই ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপে চলে যান। সেখানে থেকে কাজ করেন।
বালি গেলেই সেখানে বিভিন্ন হোস্টেল, মেস, ছোটো হোম-স্টে দেখতে পাবেন। তাতে শুধুই পশ্চিমী, বিদেশিদের বাস। সকলেই প্রায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন। কিন্তু আপাতত তাঁরা ইন্দোনেশিয়াকেই হোম বানিয়ে ফেলেছেন। সমুদ্রের ধারে বালিতেই ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েন। করতে থাকেন অফিসের কাজ।
এই প্রবণতাটাই কাজে লাগাতে চায় ইন্দোনেশিয়ার সরকার। প্রস্তাবিত পাঁচ বছরের ‘ডিজিটাল যাযাবর ভিসা’-র ঘোষণা করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন মন্ত্রী সানদিয়াগা উনো।
আপনার মতামত লিখুন