শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতামত

শুভ জন্মদিন

প্রতিকূল পরিবেশ থেকেও সাফল্যের শিখরে ড. কামাল

মো. ওমর ফারুক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
ড. মো. কামাল উদ্দিন

ড. মো. কামাল উদ্দিন

তার গল্প শুনে শুনে কেটেছে কৈশর। তখনো চোখে দেখিনি; কিন্তু কালাম স্যারের ক্লাসজুড়ে থাকতো এক 'ভালো ছাত্রের' অদৃশ্য উপস্থিতি। সে আমার প্রথম মুগ্ধতা। তারপর যতই কাছে এসেছি, মুগ্ধতা কেবলই বেড়েছে।

এখন তার বিচরণ দেশ থেকে মহাদেশে। অথচ তিনি সেই একই রকম অসাধারণ সাধারণ।

সবচে ভালো লাগে যখন তিনি তুই সম্বোধন করেন; অধ্যাপক হয়েও যখন বুকে নেন ভাইয়ের মতন; কথা কন সহজ সূরে, বুকের ভাষায়।

ভালো ছাত্র জীবনে অনেক দেখেছি। অধম নিজেও ছোটোখাটো ভালো ছাত্র ছিলাম। তাঁর মত কাছে টানতে পারেনি কেউ; 'বানতে' পারেনি কেউ স্নেহের সুতোয়।

ইংরেজ নাট্যকার শেক্সপিয়রের মতে, সফল মানুষ তিন কিসিমের— “Some are born great, some achieve greatness, and some have greateness thrust upon them”। প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঘরানার মানুষ। প্রতিকূল পরিবেশ থেকেও যে সাফল্যের শিখরে যাওয়া যায়, তিনি তার উজ্জ্বল উপমা। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে (স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর) রেকর্ড সংখ্যক নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ২০০৬ সালে। বর্তমানে সেখানেই অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৈচিত্র্যময় তাঁর কর্মযজ্ঞ; সমৃদ্ধ তাঁর চিন্তার জগত। তিনি জাতিসংঘেরর শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব জুরিখ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি (Master of Advanced Studies in International Organizations) অর্জন করেন। পিএইচডি করেছেন “Policing & Human Rights in Bangladesh” বিষয়ে (সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকং থেকে, আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চ এওয়ার্ডসহ)। অংশ নিয়েছেন ৫০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সেমিনারে। Oxford University, Springer, Palgrave, Mcmillan সহ বিশ্বের বহু নামজাদা প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ।

অনন্য প্রতিভা আর গবেষণাকর্মের জন্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। তার মধ্যে “হিউম্যান রাইটস রিসার্চার এ্যাওয়ার্ড- ২০১৯” (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, অস্ট্রেলিয়া), “ইয়াং রিসার্চার এ্যাওয়ার্ড- ২০১৭” (কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, অস্ট্রেলিয়া), তিনবার “দি আউটস্ট্যান্ডিং একাডেমিক পারফরমেন্স রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড- ২০১৩-২০১৫ (সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকং) অন্যতম। 

জাপান থেকে জার্মানি, মালেশিয়া থেকে মার্কিন-মুলুক, ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া— নিজের সাথে সাথে আমাদের সুবর্ণচরকেও নিয়ে গেছেন বিশ্বদরবারে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তিনিইতো আমাদের “সুবর্ণ-শোভা”!

১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বর্তমান ২ নং চরবাটায় তাঁর জন্ম। পিতা: আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ, মাতা: মরহুমা ছেমনা খাতুন। স্ত্রী: জনাবা নুসরাত সুলতানা, (উপসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) ও দুই কন্যা নিয়ে তাঁর যাপিত জীবন।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা, প্রিয় কামাল ভাই। দীর্ঘজীবী হোন! আর সহজ থাকার দু একটি উপায় আমাকেও শিখিয়ে দিন না!

রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে অগ্রণী ব্যাংক
করোনা চিকিৎসায় ঢামেক-শিশু হাসপাতালকে ভেন্টিলেটর ও বিআইএইচএসকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট দিল বিকাশ

আপনার মতামত লিখুন