শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ভিসতার আনন্দভ্রমণে যাচ্ছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জানুয়ারি ২০২৩

দুনিয়াজুড়েই বিক্রয়কর্মীদের কদর বেশি। যিনি যত বেশি সেল করতে পারেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে তার কদরই বেশি। আবার যে প্রতিষ্ঠানের বিক্রি বেশি, সে প্রতিষ্ঠানের লাভও বেশি। সেলস বা বিক্রি এখন শুধু পেশা নয়, এটি একটি শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা শিল্পী। এখানেও ক্রিয়েটিভিটি এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আর তাই বিক্রয় শিল্পীদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে নানা প্রতিষ্ঠান, পুরস্কৃত করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেও। গত বছরের বিক্রয় কার্যক্রমে সেরা হয়ে ভিসতার আনন্দ ভ্রমণে যাচ্ছেন একদল উদ্যোক্তা ও বিক্রয়শিল্পী। 

ভিসতা ইলেকট্রনিক্স ২০২২ সালের বিক্রয় সফলতার ওপর ভিত্তি করে পুরস্কৃত করেছে সেরা ব্যবসায়িক পার্টনারদের। পুরস্কৃত করা হয় সেরা বিক্রয়কর্মী বা ডিভিশনাল ম্যানেজারদের। ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভিসতার স্পন্সরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন রাজশাহীর আল আমিন ইসলাম পলাশ চৌধুরী, ঢাকার মো. আলাউদ্দিন আপন এবং সিলেটের শাহ আলম ভূইয়া। দার্জিলিঙের জন্য মনোনীত হয়েছেন রাজশাহীর আলহাজ শফিকুল ইসলাম। 

কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন কিশোরগঞ্জের মো. মনিরুল জামান, সিরজাগঞ্জের মো. আরশাদুল ইসলাম, নীলফামারির মো. সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুরের আকিবুল ইসলাম মিলন, মানিকগঞ্জের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফরিদপুরের রোকাইয়া আক্তার, চাঁদপুরের মো. মামুন রানা, ভোলার মোহাম্মদ নাহিদ এবং নোয়াখালীর মোহাম্মদ হাসান।  

পার্টনার্স মিট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিসতা চেয়ারম্যান শামসুল আলম। বিজনেস স্ট্র্যাটেজি এবং ফিউচার বিজনেস প্ল্যান তুলে ধরেন ভিসতা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ। বক্তৃতা করেন ভিসতা পরিচালক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ভিসতা পরিচালক এবং ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিম, ভিসতা পরিচালক প্রকৌশলী মইনুল হক, ভিসতার নির্বাহী পরিচালক এবং সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তানভীর রেজা জিহাদ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভিসতার উপদেষ্টা, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শুভাকাঙ্ক্ষী, গণমাধ্যমকর্মী এবং ভিসতা পরিবারের সদস্যরা। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে আরো বৃহৎ আকারে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে ভিসতা। একটি প্রাইভেট হাইটেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। এবছরই ভিসতা প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার, অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ডসহ বেশকিছু প্রযুক্তিপণ্য। এরইমধ্যে সেরা মানের পণ্য হিসেবে ভিসতা অ্যান্ড্রয়েড টিভি সারাদেশে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।  

সফলতার সঙ্গে দুই বছর পার করে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো ভিসতা ইলেকট্রনিক্স। এ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে একটি কেক কাটা হয়।  ভিসতা পার্টনার্স মিটের শেষ পর্যায়ে ছিল মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী লাবনী।  

পার্টনারস মিটে জানানো হয়, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে রয়েছে ভিসতার উৎপাদন কারখানা। সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের বেস্ট এবং রপ্তানি কোয়ালিটির অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশন। এছাড়া এইচভ্যাক বা সেন্ট্রাল এসি নিয়ে কাজ করছে ভিসতা। খুব শিগগিরই ভিসতা প্রোডাক্ট লাইনে যোগ হচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার, অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ড ইত্যাদি। এখনকার চেয়ে ৫ গুণ বেশি উৎপাদন সক্ষমতার নতুন কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে ভিসতা।

বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ভিসতা অফারে বিজয়ীদের জন্য থাইল্যান্ড সফর, দার্জিলিং সফর এবং কক্সবাজার সফর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত বছরের বিক্রয় কার্যক্রমে সারাদেশের সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়। ২০২২ সালে ভিসতাপণ্য বিক্রিতে প্রথম হয়েছে রাজশাহীর লাভেলো ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন সাদিয়া চৌধুরী। দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের ইনসটা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী মিলন দাস। তৃতীয় হয়েছেন টাঙ্গাইলের ভিসতা গ্যালারির স্বত্বাধিকারী এমদাদুল হক। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ভিসতা কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন রাজশাহীর এইচ এম আশরাফ, দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের সাদেক হোসেইন, তৃতীয় হয়েছেন রংপুরের হানিফুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি ভিসতার মালিকদের একজন। আমার কোম্পানি থেকে কোনো নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন বা বিক্রি হবে না। ইনশাল্লাহ ভিসতাই হবে দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড। ক্রেতারা চোখ বন্ধ করে ভিসতা পণ্য কিনতে পারেন। কোয়ালিটির দিক দিয়ে ভিসতাই সেরা।’  

পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ভিসতা শব্দের অর্থ দূরদর্শী- সাফলের সিঁড়ি। বাংলাদেশে অনেকেই প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করেন। তাদের পণ্যের মান ভালো নয়, তাতে ক্রেতা ভোগান্তিও বাড়ে, অতিরিক্ত মুনাফা করে। সেদিক বিবেচনায় ভিসতা সেরা মানের পণ্য দিচ্ছে, দামও কম।’ 

তিনি জানান, আগামী মাস থেকেই বড় আকারের কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করছে ভিসতা। প্রাইভেট হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে নানা উদ্যোগী প্রস্তাব। ভিসতা অগ্রযাত্রায় তিনি সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দেশি-বিদেশি ইনভেস্টর, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিজনেস পার্টনারদের সহায়তা কামনা করেন। 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ বলেন, ‘সুদূর প্রসারী শিল্পায়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভিসতা। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভিসতার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার। সে বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে ভিসতা। অচিরেই দেশের দ্রুতবর্ধনশীল উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে ভিসতা।’ 

ভিসতা চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ‘ভিসতা বাজারে আছে- থাকবে। ভিসতা এসেছে যুগের পর যুগ টিকে থাকতে। ভিসতা বহুদূর যাবে। বাজারে নতুন আসলেও কোয়ালিটিতে ভিসতাই সেরা। বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে ভিসতা টিমই সেরা।’ 

তিনি জানান, মালয়েশিয়া, জর্জিয়াসহ বেশকিছু দেশ থেকে বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছেন তারা। আছে আরো কিছু আকর্ষণীয় অফার। ভিসতা সেসব যাচাই-বাছাই করছে। 

সিইএস ফেয়ারে আগ্রহের কেন্দ্রে মেটাভার্স, চালকবিহীন গাড়ি ও স্মার্ট বাড়ি
ভিভোর নতুন স্মার্টফোনে এক টানা ২২ ঘন্টা মিউজিকের আনন্দ

আপনার মতামত লিখুন