বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

সুন্দরবনে ৪ ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরে

খুলনা প্রতিনিধি
০৫ মার্চ ২০২২
বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে সুন্দরবনে ইকো-ট্যুরিজম তৈরি করা হচ্ছে (ছবি: সংগৃহীত)

বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে সুন্দরবনে ইকো-ট্যুরিজম তৈরি করা হচ্ছে (ছবি: সংগৃহীত)

সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পর্যটকদের অবাধ যাতায়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বনের পরিবেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় বনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে নিরিবিলি পরিবেশ সৃষ্টি ও বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুন্দরবনে নতুন চারটি পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলো হলো—সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক। 

‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকো-ট্যুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এগুলো এই ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সুন্দরবনের পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। ২০২১ সালে কেন্দ্রগুলোর কাজ শুরু হয়, যা আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ রয়েছে। 

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ভেতরে বর্তমানে সাতটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। এর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে বর্তমানে থাকা সাতটি স্থানে এত বেশি মানুষের যাতায়াতে ঝুঁকির মুখে পড়ে সুন্দরবনের সার্বিক পরিবেশ। পর্যটকদের ভ্রমণ আরও সহজ করতে পরিবেশবান্ধব নতুন স্পট তৈরির উদ্যোগ নেয় বনবিভাগ। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগে ও পূর্ব বিভাগে চারটি পর্যটন কেন্ত্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। আগামী ডিসেম্বর পুরো কাজ শেষ হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র করা হচ্ছে। 

নতুন এই প্রকল্পের আওতায় সাতটি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ছয়টি পাবলিক টয়লেট, সাড়ে আট হাজার ঘনমিটার পুকুর খনন, একটি সেডশহ প্রদর্শনী ম্যাপ, ৩০টি আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। পাঁচটি গাইড ম্যাপ, ২০টি ডাস্টবিন ও পর্যটকদের জন্য ১০টি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। 

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ভবিষ্যতে সুন্দরবনে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সুন্দরবনে যে সাতটি ইকো-ট্যুরিজম রয়েছে (করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট ও কলাগাছী) সেখানে মূলত পর্যটকরা যান। এর পাশাপাশি বেশকিছু জায়গা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সেই আলোকে নতুন চারটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের কাজ চলছে। 

চাঁদপাই রেঞ্জের আন্দারমানিক, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্দাতে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র হচ্ছে। খুলনা রেঞ্জর শেখেরটেকে একটি প্রাচীন মন্দির আছে। সেখানে অনেক পর্যটক যাচ্ছেন। কিন্তু অবকাঠামগত সুবিধা না থাকায় অনেকে আগ্রহ থাকলেও যেতে পারছেন না। সেখানে একটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরির কার্যক্রম চলছে। এছাড়া দাকোপের কালাবগিতে আরও একটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র হচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া কাজের ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

অনলাইনে ই-প্লাজায় ওয়ালটন এসিতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
বিপন্ন নাফ নদের গাংচিল

আপনার মতামত লিখুন