শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

পর্যটন খাতে আলাদা বরাদ্দ-স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
২৫ জুন ২০২০

ঢাকা: পর্যটন শিল্পে শ্রম আইন বাস্তবায়ন, বাজেটে আলাদা বরাদ্দ এবং পর্যটন পেশাজীবীদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান ও মানববন্ধন করা  হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক করে পর্যটন বিষয়ে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনেরও আহবান জানানো হয়।

বুধবার (২৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কাস-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’ এর উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ প্রতীকী অবস্থান ও মানববন্ধন করা হয়।

ফেডারেশনের আহবায়ক মো. রাশেদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সম্মিলিত পর্যটন জোটের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশ সেফ ইউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সংগঠনের যুগ্ম-আহবায়ক আহসান হাবিব শেফ, মো. মুরাদ শেখ, শামীম আহমেদ, শাহ আলম, রুকন উদ্দিন রাজীব প্রমুখ।php glass

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পর্যটন খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বিকাশমান খাত। প্রত্যক্ষভাবে ১৫ লাখ ও পরোক্ষভাবে ২৩ লাখসহ প্রায় ৪০ লাখ অর্ধদক্ষ-দক্ষ, অর্ধ শিক্ষিত-উচ্চ শিক্ষিত শ্রমিক-কর্মচারী এ খাতের সঙ্গে যুক্ত। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দুই কোটি মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে পর্যটন খাত। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনেরও একটি বড় উৎস। সরকারি সহায়তা-পরিচর্যা ছাড়াই পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হয়ে উঠেছে।ksrm

বক্তারা আরও বলেন, দুই বছর আগে পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে বরাদ্দ ছিল নামমাত্র। চলতি বছরের বাজেটে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রাণলয়ের জন্য প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তার ৮০ শতাংশ দেওয়া হয়েছে বিমান চলাচল বিষয়ে। বাকি অংশ ব্যয় হবে প্রশাসনিক আর অবকাঠামোগত উন্নয়নে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের উন্নয়নের জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়নি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত পর্যটন শিল্প। ফলে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, পর্যটক পরিবহনসহ পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতের সঙ্গে যুক্ত ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকাংশই কর্মহীন হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।

তারা বলেন, এ খাতে শ্রম আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকায় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্র না থাকায় শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেকক্ষেত্রে কোনো রকম বেতন-ভাতা-ক্ষতিপূরণ ছাড়ায় চাকুরিচ্যুত হয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংখ্য দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী পেশা পরিবর্তন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। অথচ পর্যটন শিল্প বিকাশের দ্বিতীয় প্রধান শর্ত হল প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শ্রমিকের সেবা।

এ সময় ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পের বিকাশকে নিশ্চিত করতে এ খাতে প্রণোদনা দিয়ে দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি রক্ষা করা জরুরি। নেতৃবৃন্দ, পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতের করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের বিনামূল্যে পরীক্ষা, স্বাস্থ্যবিমা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা, করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরনকারী শ্রমিকের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং খাদ্য নিরাপত্তায় রেশনের ব্যবস্থা করার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার আহবান জানান তারা।

এছাড়া ছাঁটাই বা বেতন কর্তন বন্ধ করে করোনাকালে পর্যটন খাতের সব শ্রমিকদের কাজ ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যটন খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা ও মজুরি বোর্ড গঠন করে পর্যটন খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি কাঠামো নির্দিষ্ট করার জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে করোনাকালে পর্যটন খাতের শ্রমিকদের চাকরি ও মজুরি নিশ্চিত করতে প্রণোদনা ঘোষণা এবং বিমান মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক করে পর্যটনের বিষয়ে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনেরও আহবান জানানো হয়।

অনলাইনে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখপতি অথবা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার
৭ জুলাই থেকে পর্যটকদের স্বাগত জানাবে দুবাই

আপনার মতামত লিখুন