শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোলাম কিবরিয়ার ভ্রমণ কাহিনী

ভ্রমণসঙ্গী হ্যামক

গোলাম কিবরিয়া
২৮ আগস্ট ২০২১

এক কথায় দোলবিছানা। দূরবর্তী দুটি গাছ বা শক্ত খুঁটির দুই প্রান্তে দড়ি দিয়ে হ্যামক টানানো হয়। হ্যামক তৈরি হয় কাপড়, নেট অথবা দড়ি দিয়ে। গবেষণায় জানা গেছে, বিছানার চেয়ে হ্যামকের হালকা দুলুনিতে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ঘুম গভীর হয়। হ্যামক শব্দটি সবার কাছে খুব বেশি পরিচিত নয়। যারা নিয়মিত বন-জঙ্গল-পাহাড়ে ঘুরতে যান, তাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত এবং প্রিয় একটি নাম হ্যামক। আধুনিক হ্যামক আকারে ছোট, ওজনে হালকা, ব্যাগের কোণে রাখা যায় সহজেই। এই জিনিসটি সঙ্গে থাকলে ট্র্যাকিং-হাইকিংয়ের সময় কোথাও আরাম করে সময় কাটানো অত্যন্ত সহজ কাজ। জিনিসটি সেটআপ করা কয়েক মিনিটের ব্যাপার।

কেনার আগে খেয়াল করুন

* কমফোর্ট বা আরাম

* ওজন

* স্থায়িত্ব

* ভার্সেটালিটি অর্থাৎ সব পরিবেশে ব্যবহারযোগ্য

* সহজ সেটআপ

কাপড়ের হ্যামক হলে দেখতে হবে ওয়েদারপ্রুফ বা সব আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী কিনা। ডাবল লেয়ার বা দুই স্তরের কাপড়ের হ্যামক বেশি টেকসই হয়। ম্যানিলা রোপ বা দড়ির হ্যামক হলে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন সেটা বেশি চিকন ও শক্ত না হয়। সাধারণত একজন থেকে শুরু করে দু-তিনজনের ব্যবহার উপযোগী হ্যামকও পাওয়া যায়। ১১০ থেকে ২৭০ কেজি পর্যন্ত ওজন ধারণ ক্ষমতা থাকে এগুলোর। দৈর্ঘ্যে ৬ ফুট থেকে ১১ ফুট ও প্রস্থে ৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। যত উঁঁচু স্থান থেকে হ্যামক টানানো যাবে, ততই ভালো। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে দুই প্রান্তের উচ্চতা যেন সমান হয়। মাটি থেকে ৩০ ডিগ্রি কোণে হ্যামক টানানো উচিত।

হ্যামক প্রস্তুতকারক: অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, এর মধ্যে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক, হেনসি, হ্যামকব্লিস, ঈগলস নেস্ট ও ওয়ারবনেট উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের হ্যামক পাওয়া যায়। খাঁটি বাংলাদেশি পণ্য হলো পাটের দড়ি দিয়ে বানানো হ্যামক, যেগুলো বাসা-বাড়ির বারান্দায় বেশি মানায়। এ ছাড়া নাইলনের দড়ি দিয়ে বানানো জিনিসও পাওয়া যায়। সমুদ্রসৈকতেও দড়ির হ্যামক জনপ্রিয়।

এগুলো ঘরবাড়ি সাজানোর দোকানে পাওয়া যায়। এগুলো মূলত বাসা-বাড়িতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা। দাম ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা।

সত্যিকার আউটডোর হ্যামকগুলো প্যারাসুট কাপড়ের তৈরি হয়ে থাকে। এগুলো পাবেন দেশের অ্যাডভেঞ্চার শপগুলোয়। বাংলাদেশি কিছু ব্র্যান্ডও আছে বর্তমানে। দেশি-বিদেশি সব হ্যামকই আপনি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন। তবে বিশেষায়িত হলে দাম বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে কোথায় পাবেন: ভ্রমণ উপযোগী পণ্য পাওয়া যায় এমন দোকান আছে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের কাঁটাবনে কনকর্ড ইম্পোরিয়ামের বেজমেন্টে 'ভ্রমণসঙ্গী', রাজধানীর গ্রিনরোডের অ্যাডভেঞ্চার শপ, আজিজ সুপার মার্কেটের পিকসিক্সটি নাইন ডটকম, ঢাকা সিটি কলেজের পাশে হ্যাপি আর্কেডের নিচতলায় সাংগ্রিয়া শপ, কাকরাইলে উলফপ্যাক, পল্টন মোড়ের ট্রপিকাল ট্রপিকানা টাওয়ারে অবস্থিত থ্রিসিক্সটি ডিগ্রি অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড আউটডোর গিয়ারে পাবেন নানা রকম হ্যামক। এর প্রতিটিরই রয়েছে আলাদা ফেসবুক পেজ। যেখান থেকে জানা যাবে তাদের পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ ও দর-দাম। এ ছাড়া দারাজ, আজকেরডিল অনলাইন শপ থেকেও অর্ডার করে নিতে পারেন হ্যামক।

ঢাকা বিভাগের ১০টি মনোরম স্থান
মুন্সীগঞ্জের পথে পথে...

আপনার মতামত লিখুন