শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লাইফস্টাইল

ব্যক্তিগত গাড়িতে বিদেশ ভ্রমণ করবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২২

ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটর সাইকেলে বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট আর আপনি যে দেশে ঘুরতে যেতে চান তার ভিসা ও প্লেন টিকেট ছাড়াও আপনাকে আরও তিনটি ফরমাল কাগজ জমা দিতে হবে। চলুন জেনে নেই এগুলোর বিস্তারিত তথ্য-

নিজ গাড়ি বা মোটর সাইকেলে বিদেশ ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে যে ফরমালিটিস্টটি পূরণ করতে হবে তা হলো ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট। এই ফরমালিটিস্টটি পূরণ করতে পারলে বিদেশের মাটিতে আপনি আপনার নিজ গাড়ি বা মোটর সাইকেলটিকে চালানোর অনুমতি পেয়ে যাবেন। এই অনুমতি পাওয়ার জন্য আপনার একটি ফরম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, ৪ কপি স্টাম্প সাইজ ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

বাংলাদেশ অটো মোবাইল এসোসিয়েশন এ বিষয়টি তদারকি করে থাকে। এর ঠিকানা হলো ৩ বি, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। তাই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে এখানেই আপনার পূরণকৃত ফরমটি জমা দিন। ২৫০০ টাকা ফি দিয়ে জমা দেওয়ার পর প্রায় ১২ দিন বা ২ সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিটি পেয়ে যাবেন।

এরপরেই আপনার যে অনুমতিটির প্রয়োজন হবে তা হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতি। এটি পাওয়ার জন্য আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে একটি এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। এরজন্য কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।  তবে আপনাকে এপিলকেশনের সঙ্গে জমা দিতে হবে ভিসা, পাসপোর্ট, গাড়ি বা মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন পেপার, ইন্সুরেন্স, স্মার্টকার্ড, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট ইত্যাদির ফটোকপি ও ছবি। এই অনুমতি পেতে আপনার প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। অনুমতি পাওয়ার পর এই অনুমতি পত্রটির এক কপি আপনার কাছে রেখে আরেক কপি জমা দিতে হবে বর্ডার কাস্টস অফিসে।

এরপর আপনাকে পেতে হবে কারনেট। এটি হলো যেকোনো দেশে যানবাহন চালানোর অনুমতি। অন্যদেশে যেকোনো গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সব সময়ই এটি সঙ্গে রাখতে হবে। এটি ইস্যু করার সময় আপনার বাইক বা গাড়ির মূল্যের সমপরিমাণ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি বা পে অর্ডার জমা দিতে হবে যা অবশ্যই ফেরতযোগ্য। সাধারণত কারনেট ইস্যু করতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকার মতো লাগে। তবে এখানে অবশ্যই অনুমতি পত্র পাওয়ার আবেদনে আপনি কোন বর্ডার পাস করবেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

আপনার এইসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ হয়ে গেলে আপনি বিদেশ ভ্রমণের জন্য তৈরি বলা যায়। তবে যেদিন ভ্রমণের জন্য বের হবেন প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে বর্ডারে চলে যাবেন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে। এখানে ৩০০ টাকার ইন্ডেমনিটি বন্ড এবং গাড়ির জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতিপত্র দেখিয়ে কমিশনার অফিসে জমা দিন। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাস্টমস অফিসে অ্যাসিস্টেন্ট রেভিনিউ অফিসারের কাছে কারনেটসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট জমা দিন।

আপনার পছন্দের দেশগুলোতে ঘুরে আসা হয়ে গেলে আপনার ব্যাংক গ্যারান্টি ও গাড়ির জন্য জমা দেওয়ার টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তাই ঘুরে এসে একটু সময় নিয়ে এসব কাজও সেরে ফেলতে ভুলবেন না যেন!

সেন্টমার্টিনে বিনোদন বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ পর্যটকরা
বেদখলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পর্যটন শহর রাঙামাটি

আপনার মতামত লিখুন