শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

বিদেশের সতর্কবার্তা, আশঙ্কায় পর্যটন

অনলাইন ডেস্ক
২১ ডিসেম্বর ২০১৯

 নতুন নাগরিকত্ব আইন ঘিরে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কিছু অঞ্চলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেশের পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে কয়েকটি দেশ। এতে পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ্রমণসূচি পরিবর্তনের জেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন কিছু পর্যটক। তার ওপর ওই সতর্কবার্তায় আসন্ন সফরের আগে বিদেশি পর্যটকদের অনেকেই সংশয় থেকে বাড়তি খোঁজ-খবর করছেন। এটি পর্যটন ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব ফেলার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। খবর: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।

মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত। অনেক পর্যটক বিদেশে সফরের জন্য বিমা করান। কিছু দেশের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের (আইএটিও) প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার ও অ্যাসোচ্যামের পর্যটন কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষ গয়াল গতকাল মঙ্গলবার জানান, সতর্কতা জারি হলে সংশ্লিষ্ট দেশে যাওয়ার জন্য বিমার সুযোগও মেলে না। সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ শীতের এ মৌসুমে ভারতে আসেন বিদেশি পর্যটকরা। এরই মধ্যে যারা সফরের পাওনা-গণ্ডা মিটিয়ে দিয়েছেন, তারা এখনও সফর বাতিল করেননি। কিন্তু তাদের অনেকেই ভারতের পরিস্থিতি সম্পর্কে যেভাবে খোঁজ-খবর করছেন, তাতে স্পষ্ট যে, তারা কিছুটা চিন্তিত।

রাজ্যে আইএটিও’র প্রেসিডেন্ট জানান, তার বিদেশি সহযোগী পর্যটন ব্যবসায়ী এর পরের সফরগুলো ঠিকমতো হবে কি না, সে নিয়ে বারবার আশ্বস্ত হতে চাইছেন। তিনি আরও জানান, পরিবহন ব্যবস্থা সমস্যার জন্য এ দেশে সফররত অস্ট্রেলিয়ার একটি পর্যটকদল কলকাতা থেকে গোপালনগর যাওয়ার যাত্রাসূচি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। অশান্তির জেরে সফরসূচি বা যাত্রাপথের বদল হলে একটা বিরূপ বার্তা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকেই। পর্যটনশিল্পের একাংশের বক্তব্য, যারা এখনও ভ্রমণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেননি, তারা শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে বলে আশা এ শিল্পসংশ্লিষ্টদের।

নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভের জেরে ভারতের রাজধানী দিল্লির পূর্বাঞ্চলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার সেখানকার সিলিমপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। নতুন সহিংসতা ঠেকাতে ওই এলাকায় গতকাল সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত বিলটি। এ বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। বিরোধীরা এ আইনকে ‘মুসলিমবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছে। চলছে দফায় দফায় আন্দোলন।

বিশ্বকাপের পরও অব্যাহত থাকবে কাতারের পর্যটন উন্নয়ন
শীতে ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি

আপনার মতামত লিখুন