ওয়ালটন প্লাজার ‘চেঞ্জমেকারস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পেলেন ২০ জন কর্মকর্তা। ২০২১ সালে কোম্পানির বিক্রয় ও মুনাফা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদেরকে এই পুরস্কার দেয় দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর, ২০২২) রাজধানীর করপোরেট অফিসে ‘ওয়ালটন প্লাজা চেঞ্জমেকারস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালক এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম।

প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার ও মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, তানভীর রহমান, ফিরোজ আলম, ড. সাখাওয়াৎ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, মফিজুর রহমান, রকিব উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফয়সাল ওয়াহিদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আপনারা কোম্পানির সেলস কার্যক্রমে বিশাল পরিবর্তন এনেছেন। আপনাদের কারণে প্রতিষ্ঠানের সেলস ও প্রফিট গ্রোথ বেড়েছে। সেজন্যই আপনাদেরকে চেঞ্জমেকার নামে ভূষিত করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় রাখতে আপনাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভালো হতে গেলে কিংবা ভালো থাকতে গেলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমাদের সবার ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো একটি পেশা বেছে নিতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। আপনারা চ্যালেঞ্জ নেবেন। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন। নিরাশ হবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা সিইও মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য—২০২৫ সালের মধ্যে ওয়ালটন প্লাজা ৫০০ কোটি টাকা রেভিনিউ অর্জন করবে। সেজন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ চলছে।’

যারা হলেন ‘ওয়ালটন প্লাজা চেঞ্জমেকারস’

ওভারঅল আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স (প্লাজা ম্যানেজার) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন—ডেমরা প্লাজার সিরাজুল ইসলাম, আটিপাড়া বাজার প্লাজার রেজাউল ইসলাম রেজা, লালমনিরহাট মিশন মোড় প্লাজার রাশিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্লাজার সুজায়েত হোসেন, যশোরের মহেশপুর প্লাজার ফনিউজ্জামান, সিলেটের মদিনা মার্কেট প্লাজার কেশব রাজা দাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি এ রোড প্লাজার রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ প্লাজার ইশতিয়াক আহমেদ, পাটকেলঘাটা প্লাজার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পঞ্চগর প্লাজার সুমন আলী।

আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স (বেস্ট রিজিওনাল ক্রেডিট মনিটর) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন—রংপুর এরিয়ার মোমিনুল হক, লালমনিরহাট এরিয়ার এস এম সাকিলুর রহমান এবং নরসিংদি এরিয়ার সোহেল রানা।

আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স (বেস্ট রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার) ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন—ময়মনসিংহ এরিয়ার সুমন চন্দ্র বসাক, টাঙ্গাইল এরিয়ার জামিল হোসেন এবং নরসিংদী এরিয়ার হামিম মোহাম্মদ আসিফ-উন-নবী।

আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স (বেস্ট ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার) ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— ডিভিশন-৭ এর সুমন মিয়া এবং ডিভিশন-৪ এর শাহাদাত হোসেন।

আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স (বেস্ট চিফ ডিভিশনাল অফিসার) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন—ডিভিশন-৪ এর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর এবং ডিভিশন-২ এর আল-মাহফুজ খান।