বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

পাল্টে গেল পর্যটকের সংজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জুন ২০২২

পর্যটকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন ও ‘ডিউটি ফ্রি’ দোকান পরিচালনার অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা হচ্ছে।

বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, কেউ নিজের ঘর থেকে ভ্রমণ বা শ্রান্তি বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম সময়ে আরেক জায়গায় থাকলে তিনি পর্যটক। পাস হওয়া বিলে তা এক বছর করা হয়েছে। তবে চাকরির জন্য থাকলে তাকে পর্যটক হিসেবে ধরা হবে না। বিলে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে।

১৯৭২ সালের আইনে চেয়ারম্যানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল ‘বোর্ডের চেয়ারম্যান’, তবে পাস হওয়া বিলে বোর্ডের বদলে করপোরেশনের চেয়ারম্যান করার বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে করপোরেশনের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন সদস্য থাকার বিধান আছে। সংশোধনে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ করা হচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব।

বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মাহবুব আলী বলেন, আইনটি সংসদের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আয়বৃদ্ধিসহ কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে চমত্কার সব পর্যটন এলাকা থাকার পরও অদক্ষতা, অযোগ্যতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়া, অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে পর্যটনের বিকাশ হচ্ছে না। নারী পর্যটকদের হয়রানির শিকার হওয়া স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ অবস্থায়ও এখন এ খাতে যা হচ্ছে তাতে এটি একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস। সম্প্র্রতি কয়েক দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তখন আলু ভর্তা, ডাল-ভাত বিক্রি হয়েছে ৩০০-৪০০ টাকায়। হোটেল ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তিন থেকে পাঁচ গুণ।

রাঙ্গামাটিতে নিজের একটি রিসোর্ট নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আইন করে কী হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বড় বাধা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এখানে এত বেশি জটিলতা যে কেউ এ শিল্পে যাবে না।

রেজিস্ট্রেশন ছাড়া হাওরে নৌকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
পর্যটনে রেকর্ড মালদ্বীপের, পাঁচ মাসে ঘুরতে গেল ৭ লাখ পর্যটক

আপনার মতামত লিখুন