শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

সর্বোচ্চ পর্যটকের রেকর্ড করলো দেশসেরা ৪ পর্যটন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ অক্টোবর ২০২২

দেশের চার পর্যটন কেন্দ্রে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যটক সমাগম হয়েছে। স্থানগুলো হলো কক্সবাজার, বান্দরবান, কুয়াকাটা ও সিলেট। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমাগম ঘটেছে কক্সবাজার ও বান্দরবানে। যার কারণে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে হোটেল বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বান্দরবানে হোটেল না পেয়ে অনেক পর্যটক রাস্তায় রাত্রি যাপন করছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে সিলেটে হোটেলে ছিল বিড়ম্বনা কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারী শুরুর পর পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ও পরে খুলে দেয়া হলেও গত দুই বছরে এমন সমাগম আর হয়নি। করোনা মহামারী আতঙ্ক কেটে যাওয়ার সাথে দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী সা: ও প্রবারণা পূর্ণিমা ঘিরে প্রায় ১০ দিনের লম্বা ছুটিতে মানুষ বেড়াতে বেরিয়েছেন। শুধু সমুদ্রসৈকতেই সমাগম হয় প্রায় দুই লাখ মানুষের।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে এক লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিপুল পর্যটকের কারণে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে অগ্রিম রুম বুকিং বন্ধ করে দেয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তারা সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন। সে সাথে অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়। কারণ তারা চান নির্বিঘ্নে যাতে পর্যটকরা আপনজন নিয়ে সময় অতিবাহিত করতে পারেন।

অন্য দিকে পর্যটকে মুখরিত বান্দরবানেও আবাসন সঙ্কট দেখা দেয়। পর্যটকদের চাপে জেলার সবগুলো হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে সিট বুকিং হয়ে যায়। কোথাও রুম খালি ছিলো না। ফলে যারা হোটেল পাননি তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

এদিকে কয়েক দিনের টানা ছুটিতে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় প্রায় সবগুলো হোটেল- মোটেল বুকিং হয়ে যায়। পর্যটন ব্যবসায়ী ও হোটেল-মোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসেন প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক। কোনো কক্ষ খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

একই অবস্থা সিলেটেও। একজন ব্যবসায়ী জানান, তাদের সব ৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল বুকিং হয়ে য়ায়। প্রতিটি স্পটে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পর্যটক ভিড় লেগেই ছিলো। তিনি জানান, করোনার পর এই প্রথম এমন সমাগম ঘটেছে। তাদের ধারণা সামনে ভরা মৌসুম। এরকম পর্যটক আগমন অব্যাহত থাকলে আবার এ খাত ঘুরে দাঁড়াবে।

প্রিমিয়াম সিরিজের নতুন চার মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন
বাংলাদেশে পর্যটনকেন্দ্রগুলো এতো ব্যয়বহুল কেন?

আপনার মতামত লিখুন