শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতামত

পর্যটনে আঁধার পেরিয়ে আলো আসবে

গোলাম কিবরিয়া
১৪ জুন ২০২০

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশে। রয়েছে সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বান্দরবানের অপরূপ পাহাড় ঘুরে। পুরো পার্বত্য অঞ্চলই যেন অঘোষিত পর্যটনকেন্দ্র। আছে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, কৃষি, মৎস্য শিকার, আদিবাসী সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জীবনযাত্রা ঘিরে পর্যটনের আলাদা সম্ভাবনা। এক কথায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনায় ভরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবে অন্য সবকিছুর মতোই দেশের পর্যটনের টালমাটাল অবস্থা। পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকায় প্রকৃতি আপন রূপে ফিরে এলেও এ খাত সংশ্নিষ্ট বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দেশের পর্যটনে নতুন ধারা যুক্ত করেছে অনলাইনভিত্তিক ট্রাভেল গ্রুপগুলো। তরুণদের হাত ধরে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ গ্রুপই খারাপ সময় পার করছে। 

আঁধার ঘেরা রাতের শেষে যেমন আশার আলো হয়ে ভোরের সূর্য ওঠে, তেমনি সবারই প্রত্যাশা করোনার সংকট কাটিয়ে আবারও স্বাভাবিক হবে পৃথিবী। সব কিছু ফিরে পাবে পুরোনো রূপ। আবার মানুষ ভ্রমণ করবে পথ থেকে পথে, পাহাড়ে-সমুদ্রের প্রান্তরে। সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা প্রিয় মাতৃভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে বেরিয়ে পড়বে সবাই। এই অস্থির সময় পার করে দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাক, এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: সহ-সম্পাদক, দৈনিক সমকাল

দোয়া চান করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক মামুন
যাদুকাটা নদীর কান্না, নব্য পুঁজিপতিদের উল্লাস

আপনার মতামত লিখুন