ভালোবাসাকে 'অমর' করে সাইফ গেছে পরপারে

নোবিপ্রবির মেধাবী ছাত্র, সুবর্ণ সন্তান, করোনাকালীন সুবর্ণচরের মানুষের আবেগ-ভালোবাসার 'প্রতীক' হয়ে ওঠা সাইফ আর নেই। দুটো কিডনি হারিয়ে সাইফ যখন মৃত্যুর মুখোমুখি,তখন একাট্টা হন সুবর্ণচরের মানবতাবাদী নাগরিকগণ। অধ্যাপক চিকিৎসক,সাংবাদিক,রাজনীতিবিদ,কর্পোরেট বস,সেনা কর্মকর্তা,পুলিশ ছাত্রসমাজ কে ছিলো না সেই মিছিলে! বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার দুহাত বাড়ায়। এলাকার সকল প্রতিষ্ঠান,সব শ্রেণিপেশার মানুষ অসংকোচে 'সাহায্য' দেয়-নেয় জনে জনে একই সুরে। এ যেন এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার ডাক। কত কত মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে বিপন্ন চরবাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কোমল চাহনির সাইফের মধ্যে। এটা যেন মৃত্যুপুরীতে আবাস গেঁড়ে জীবনের জয়োল্লাস। আমাদের আবেগ-আবেদন-আহ্লাদের অপর নাম হয়ে উঠেছিলো সাইফ উদ্দিন। আমি জীবনে কারো জন্যে এত মরিয়া হয়ে সাহায্য চাইনি। সাইফের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে বলে,মনে করতে পারি না। কিন্তু তার অন্তর্ধান বিবর্ণ দুপুরে ভিজিয়ে দেয় আমার দুচোখ...কাঁদছে সুবর্ণচর। কাঁদছে ইথারে পাথারে সাইফের অযুত স্বজন,যারা এই নামকে চেনে 'বিশেষণ' এর মর্যাদায়। আমরা হারিয়েছি সাইফকে, জিতেছি ঐকবদ্ধ হবার শুভ প্রয়াসে। আমাদের হাজার মানুষের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় সাদা কাফনে সেজে সে চলে গেছে দিগন্তরে...। প্রভু তারে দিও ছায়া তোমার সুশোভিত উদ্যানে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
আপনার মতামত লিখুন