কোম্পানীগঞ্জে পিআইও কার্যালয়ের আওতায় গত অর্থ বছরে প্রায় ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন

জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা শেখ হাসিনার উপহার ঘর পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ উপজেলা। ওবায়দুল কাদেরের হাত ধরে প্রতি বছরই এ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়ে থাকে। বিশেষ করে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে দৃশ্যমান প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত অর্থ বছরে(১৯-২০ইং) শুধু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের অধীনেই প্রায় ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রাস্তা, সেতু-কালভার্ট, সোলার স্থাপন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১১টি রাস্তায় ৭.১ কিলোমিটার, গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মি: দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১০টি ব্রীজ নির্মাণ, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) আওতায় মোট ৩৮টি প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০.৫০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান ও মেরামত, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ৪৬টি প্রকল্পের আওতায় ৭৩ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ব্যায়ে ৪৬টি রাস্তা ও প্রতিষ্ঠান মেরামত, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় সোলার স্থাপনের ১৯৪টি প্রকল্পে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় ১৯৪টি সোলার স্থাপন এবং দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

উন্নয়ন কার্য সম্পাদনের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফজলুল করিম বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ উপজেলা হওয়ায় উনার সম্মানের কথা বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে আমরা সকলে সতর্কতার সহিত সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে প্রকল্পগুলোর শতভাগ বাস্তবায়ন করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীন সকল প্রকল্প সঠিক ও সুচারুভাবে সম্পাদন হয়েছে। প্রকল্পের কোন কাজ অবশিষ্ট নেই।
আপনার মতামত লিখুন