শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মৌলভীবাজার পর্যটনশিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জানুয়ারি ২০২২

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার। পাহাড়, অরণ্য, হাওর আর সবুজ চা বাগান পরিবেষ্টিত এই জেলা। আছে আদিবাসী বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম বিশ্বব্যাপী।

পাহাড়-বেষ্টিত এ জেলার চারদিকে চিরসবুজের সমারোহ। দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ হিসেবেও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। এই জনপদের সঙ্গে সারাদেশের রেল ও সড়কপথে রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। করোনা মহামারির পর যেন প্রাণ ফিরেছে পর্যটন শিল্পে।

মৌলভীবাজারের পর্যটন এলাকাগুলো মুখরিত হয়েছে পর্যটকদের পদচারণায়। আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে দর্শনার্থীরা বলছেন পর্যটক সুবিধায় প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা। আর জেলা প্রশাসন জানালেন পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গ্রহণ করা হচ্ছে নানা উদ্যোগ। মৌলভীবাজার জেলার শতাধিক পর্যটনখাত থেকে প্রতি বছর সরকার পাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।

মহামারির কারণের ফলে কয়েক দফায় বন্ধ ছিল সকল পর্যটনকেন্দ্র। তখন এই শিল্পে শুধু ব্যবসা ধরে রাখতেই প্রতি মাসে গুনতে হয়েছে কোটি টাকা। সেই সঙ্গে পুঁজি হারান অনেক ব্যবসায়ীরা। ফলে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পর্যটন শিল্প। আর তখন বেকার হয়ে পড়েন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। অনেকে পরিবর্তন করেন পেশা। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আর চলমান শীত মৌসুমে সেই ক্ষতির হিসাব মিলিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা পর্যটক অনামিকা চৌধুরী বলেন, আগে থেকে বুকিং ছাড়া হোটেল-রিসোর্টে স্থান পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে কিছুটা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

লেমন গার্ডেন রিসোর্টের পরিচালক সেলিম মিয়া বলেন, ভালোই সাড়া পাচ্ছি। করোনার কাছে আমাদের কিছুটা ক্ষতি হলেও স্বাভাবিক সময়ে এখানে পর্যটকের অভাব নেই। বরং শুক্রবার ও শনিবারে অনেক রিসোর্টের রুম ১ মাস আগেই বুক হয়ে যায়।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, এই জেলা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জেলার পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ ও পর্যটক বান্ধব করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হয়েছে ট্যুরিস্ট বাস। ফলে মৌলভীবাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণও বাড়বে। এই সেবা মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হলে ভবিষ্যতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এখানে পর্যটন নির্ভর লোকের সংখ্যা বেশি। জেলার সকল প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এবং বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

দেশে বিদেশি পর্যটকে ধাক্কা, ভরসা অনাবাসী বাংলাদেশী
নিঝুম দ্বীপে পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনা

আপনার মতামত লিখুন