বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত ভবন কখনো গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। বলেন, সেন্টমার্টিনে আর কোনো অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না

শুক্রবার রাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলার প্যানেল ডিসকাশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় সচিব বলেন, সেন্টমার্টিনে যে হারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা পর্যটনের সঙ্গে যায় না। এ স্থাপনাগুলোর চাপ সেন্টমার্টিন সহ্য করতে পারছে না। এগুলো বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

মোকাম্মেল হোসেন বলন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নান্দনিকভাবে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। আবার কারো ক্ষতি করে তিনি উন্নয়ন করবেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নিশ্চিত থাকতে পারেন তিনি কারো ক্ষতি করে উন্নয়ন করবেন না। সবকিছু ইতিবাচক হলে তিনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিবেন।

তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এই রকম পর্যটন মেলা প্রতিবছর করার জন্য চিন্তা ভাবনা আছে। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ ধরণের মেলা বছরে দুবারও করতে পারবো আমরা। পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

কিছু ঘটনায়, তিলকে তাল না করে পর্যটন এলাকাকে প্রমোট করলে দেশি-বিদেশি পর্যটকে ভরপুর হবে কক্সবাজার এমনটি জানান তিনি।

জেলা প্রশসাক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা প্রমুখ।