শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

পর্যটন শিল্প : সমস্যা ও সম্ভাবনা

আফতাব চৌধুরী
১৪ জানুয়ারি ২০২২

সীমাহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলানিকেতন বাংলাদেশ। পর্যটনের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্র সৈকত, উপজাতীয় সংস্কৃতি, বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন, পাহাড়ি এলাকা ও ঘন অরণ্য এখানে রয়েছে যা রীতিমতো আমাদের গর্বের বস্তু। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ১২০ কিঃমিঃ দীর্ঘ পৃথিবীর সর্ববৃহত্ এবং অতুলনীয় সৌন্দর্য সৈকত। সৈকত ঘিরে রয়েছে চিরসবুজ পাহাড়ি অরণ্য। কক্সবাজারের পরে উখিয়া থানার ইনানীতে সৈকতজুড়ে রয়েছে বিরাট পাথর খণ্ড। যেগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায় আবার ভাটার সময় ভেসে ওঠে। অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকার এ দৃশ্যে বাংলাদেশে অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে ‘জারকা’ তাদেরই একটি।

কক্সবাজারের অনতিদূরে হিমছড়িতে রয়েছে পর্যটকদের হূদয়কাড়া দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত। এছাড়া কিছুদূর পর পরই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা তো রয়েছেই। কক্সবাজারের আশপাশে রয়েছে কয়েকটি রিজার্ভ ফরেস্ট ও অভয়ারণ্য। এখানকার বন্য হাতি, হরিণ, বানর ও বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি ছাড়াও নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। চুনতি হলো তেমনই একটি অভয়ারণ্য। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিস্তীর্ণ রাবার বাগান, দুর্গম পাহাড়ের উঁচু-নিচু দিয়ে প্রবাহিত রাস্তা এবং বিস্তর জেলেপাড়া চোখে পড়ার মতো। সব মিলে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার একটি মনলোভা স্থান।

কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইউরোপীয়দের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রে আগমন ঘটছে মাত্র ৪% পর্যটকের। সেন্টমার্টিনের মতো প্রবাল দ্বীপও হতে পারে পর্যটনের এক অনন্য সম্ভাবনাময় স্থান, এখানকার জেলে সম্প্রদায়ের সহজ, সরল জীবন যাত্রা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। ইউরোপীয় পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এ স্থানকে মনের মতো করে সাজানো যেতে পারে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে খুলনা জেলায় রয়েছে সুন্দরবন। ২৪০০ বর্গমাইলের সমুদ্রের কোল ঘেঁষা এ বনের গহীন অরণ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। হরিণ, বানরসহ অসংখ্য প্রাণীর বিচরণ। বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে অসংখ্য সরু নদী ও খাল। এখানে কুমির ও অন্যান্য জলজ প্রাণীদের অবাধ বিচরণ। সুন্দরবনের প্রতি ইউরোপীয় পর্যটকদের দুর্বলতার কথা হলফ করে বলা যায়। নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার জন্য পর্যটকরা সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছে না। পর্যটকরা সুন্দরবনের পশু-পাখিদের জীবন যাপন প্রণালি উপভোগ করতে বনে থাকতে চায়। উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও থাকার সুবন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটকরা সুন্দরবনের ব্যাপারে আরো উত্সাহী হতো।

চট্টগ্রামের উপকণ্ঠে রয়েছে ফয়েজ লেক। পাহাড়ে ঘেরা এক মনোমুগ্ধকর স্থান। পাহাড়ের পাশ দিয়ে রয়েছে অসংখ্য খাল। লেকের মাঝ দিয়ে পাহাড়ের উপরের সাথে ঝুলন্ত ব্রিজ দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা যেতে পারে। এখানকার পাহাড়গুলোর ওপর ভাড়া দেয়ার জন্য ছোট ছোট কটেজ নির্মাণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য কিংবা Mental Freshness-এর জন্য এখানে এসে অবস্থান করতে পারে। সম্প্রতি এখানে গড়ে উঠেছে একটি চিড়িয়াখানা। বিরল প্রজাতির প্রাণীদের জন্য প্রচুর পর্যটকদের আগমন এখানে ঘটানো সম্ভব। পাহাড়গুলোতে বন্য বানরের চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়। এগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে এবং পর্যটকদের দৃষ্টিতে পড়তে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ লেকের অভ্যন্তরে স্পিড বোট, ছোট নৌকা দ্বারা ভ্রমণ এবং মাছ ধরার ব্যবস্থা থাকলে ফয়েজ লেকেব আকর্ষণীয়তা অনেকগুণ বাড়বে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

দেশের দক্ষিণে খেপুপাড়ার কুয়াকাটায় রয়েছে ৬ মাইল দীর্ঘ এবং ৩ মাইল সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা সেখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য। এখানকার মগসহ অন্য উপজাতীয়দের জীবনযাত্রাও উপভোগ করা যেতে পারে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হলে চলচ্ছিত্র নির্মাণের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসাবেও একে গড়ে তোলা যেতে পারে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে ‘অবিচার’ ছবি এখানে নির্মিত হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কুয়াকাটাকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট বানানো যেতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে ৭৭ কি:মি: সবুজে ঘেরা পথ ধরে রয়েছে রাঙ্গামাটি। দু’পাশে অসংখ্য পাহাড় আর পাহাড়ের উঁচু-নিচু দিয়ে প্রবাহিত রাস্তা হূদয় হরণ করার মতো।

রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ পর্যটকদের আগ্রহের বিষয়। বান্দরবনে রয়েছে প্রাকৃতিক মনলোভা Rain Khyong উপত্যকা। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কেওক্রাডং। সমুদ্র থেকে অনেক উচ্চে প্রায় এক মাইল দীর্ঘ বগা লেকও এখানে রয়েছে। অধিকন্তু এখানকার উপজাতীয়দের সহজ-সরল জীবন যাপন প্রণালি শুধু বিদেশিই নয়, দেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এসব অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। কাপ্তাই লেকের পাহাড়ে ঘেরা জলরাশি, মনলোভা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, লেকের নৌবিহার ও মত্স্য শিকার পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

বৌদ্ধসহ ও নানা ধর্মের চারণভূমি আমাদের এ বাংলাদেশ। এখানকার ময়নামতিতে রয়েছে প্রাচীন যুগের রাজা-বাদশাহদের অনেক কীর্তি। ১৯২০ সালে আলেকজান্ডার টেনিংহাম পাহাড়পুড়ের মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর সর্ববৃহত্ বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। এখানে রয়েছে শালবন বিহার ও আনন্দ বিহার। শালবন বিহারের পাশেই রয়েছে পুরোকীর্তি জাদুঘর। এখানে ৭ম ও ৮ম শতাব্দীর বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিঃমিঃ দূরে রয়েছে মহাস্থানগড়ের বৌদ্ধ বিহার। বৌদ্ধ বিহারের রয়েছে বৃহত্ আকৃতি, সুউচ্চ চূড়া ও প্রশস্ত হলঘর যা অতি সহজে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে। বৌদ্ধ সংস্কৃতি, শিক্ষা ও ধর্মের প্রাচীন নিদর্শন পর্যটকদের পরম কৌতূহলের বিষয়।

এ প্রসঙ্গে জাপান ও কোরিয়ার নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য নাগরিকের তুলনায় এরাই পর্যটনে বেশি অর্থ ব্যয় করে। মুসলিম সভ্যতারও অনেক নিদর্শন রয়েছে বাংলাদেশে। বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, চট্টগ্রামে আমানত শাহের মাজার, সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার, শাহপরানসহ অগণিত ওলি আউলিয়ার মাজার রয়েছে যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো।

সিলেটের পাথরের সমারোহমণ্ডিত জাফলং এক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। সুরমা, কুশিয়ারা বিধৌত সিলেটের তামাবিল, শতাধিক হাওর এবং সবুজের সমারোহে ভরা চা বাগান কার না হূদয় কাড়ে। মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, ছাতকের কমলালেবুর বাগান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিশ্চিত আকৃষ্ট করবে। শ্রীমঙ্গলের হামহাম জলপ্রপাত, অসংখ্য চা বাগানের মনোরম দৃশ্য পৃথিবীতে বিরল। দেশ বিদেশের অগণিত পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধিতে এখানে মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের তত্কালীন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চীন যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল।

তখনও দেখেছি সে দেশে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য তারা কত তত্পর, কত আন্তরিক। দোভাষীর সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলাম নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পর্যটনের খাত থেকে তাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়ে থাকে। শুধু চীন নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, পাকিস্তান, নেপাল, ভারত, দুবাই, আবুধাবি, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, ওমান, বাহরাইন, লেবাননসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। দেখেছি তাদের পর্যটন বিভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কত তত্পর, কত আন্তরিক। পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশে প্রচুর সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সফল হতে পারছি না। ঢাকা শহরের আশপাশে পর্যটনের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি স্পট।

এগুলোর মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন, লালবাগের কেল্লা, পরীবিবির মাজার, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ জাদুঘর, চিড়িয়াখানা— এগুলোর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সারাবিশ্বে পর্যটন আজ দ্রুত বিকাশমান একটি শিল্প। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে পর্যটনের ক্ষেত্রও দিন দিন ততই প্রসারিত হচ্ছে। অথচ বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প এত প্রসার লাভ করা সত্ত্বেও আমরা পারিনি এর বিকাশ ঘটাতে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারাবিশ্বের মোট পর্যটকের ০.৮% এর আগমন ঘটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এবং বাংলাদেশ শুধুমাত্র তার ৪% পর্যটকের আগমন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

নেপাল যদি শুধু পাহাড় দিয়ে পর্যটনের আকৃষ্ট করতে পারে, মালদ্বীপ যদি ক’টি দ্বীপ নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে. দানিয়ুব নদীর বাঁকে যদি গাঙ্গেরী, চেক ও শ্লোভাকরা গড়ে তুলতে পারে লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটানো, পর্যটন কেন্দ্র সার্কভুক্ত দেশ ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা যদি পারে আমাদের চেযে বেশি পর্যটকদের আগমন ঘটাতে তবে আমরা কেন পারব না প্রকৃতির এত অকৃত্রিম অনুদান নিয়েও পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটাতে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ, প্রতিটি অঞ্চলই তার নিজস্ব সৌন্দর্যে, নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি। এখন কাজ হচ্ছে এই সৌন্দর্য, এই বৈশিষ্ট্যকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। এটা কেবল পর্যটন কর্পোরেশনের ওপরই নির্ভর করে না, এর জন্য ভাবতে হবে সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনাবিদদের’।

কাঠামো গড়ে তুলবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো তার ওপর সৌন্দর্যের প্রলেপ দিবে পর্যটন কর্পোরেশন, আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকরা আসেন দু’ধরনের জিনিস দেখতে। এর একটি হচ্ছে ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ এবং অন্যটি হচ্ছে নিঃসর্গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নিঃসর্গ প্রকৃতি আমাদের কম সুন্দর নয়, অথচ এর কাছে যাওয়ার, উপভোগ করার পরিকল্পিত ব্যবস্থা আমরা এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। এক হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশে আগত প্রতিটি পর্যটক দৈনিক মাত্র ৫.৫ আমেরিকান ডলর ব্যয় করেন। আমরা এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানির কিংবা ইউরোপীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। বাংলাদেশে যে পরিমাণ পর্যটক আসে তার ৬০ ভাগই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে।

স্পষ্টত বলা যায়, ৪০ ভাগ আসে ভারত থেকে যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশে আসেন তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও ব্যবসায়িক বন্ধু-বান্ধবদের সাক্ষাত্ করতে। কাজেই এদের কাছ থেকে আশাপ্রদ বৈদেশিক মুদ্রা আমরা পাই না। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসে ১৬ ভাগ পর্যটক। ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকে আসে শতকরা ৯ ভাগ। বাকি পর্যটক আসে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে। নেপালে জাতীয় আয়ের ২০ ভাগ আসে পর্যটন খাত থেকে আর মালদ্বীপে ৪০ ভাগ।

এসব দিক বিবেচনায় আমাদের দেশের অবস্থান শূন্যের কোটায় বলা যায়। জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই। পর্যটন শিল্পকে উন্নত এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন স্পটগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ও পত্রপত্রিকারও দায়িত্ব রয়েছে এ ব্যাপারে। সকলেই আন্তরিক হতে হবে তাহলে সফলতা স আসবে নিশ্চিত করে বলা যায়।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট। সদস্য-বন ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি, সিলেট।

জাদুঘরের জাদুর ছোঁয়া
এ যেন পটে আঁকা ছবি

আপনার মতামত লিখুন