বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

করোনাভাইরাসের প্রভাব আন্তর্জাতিক পর্যটন কমবে ৮০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
৩১ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী পর্যটনে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভাটা পড়তে পারে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন বৃহস্পতিবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

মাদ্রিদভিত্তিক সংস্থাটির হিসাবে, এতে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ৯১০ বিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এ খাতসংশ্লিষ্ট এক কোটি থেকে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।

এর আগেও ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন করোনাভাইরাসের প্রভাবে পর্যটন খাতের সম্ভাব্য ক্ষতির অনুমান করেছিল। তবে সেখান থেকে সরে এসে সম্ভাব্য আরো অবনমনের কথা জানাল তারা।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সীমান্ত। এর ফলে ১৯৫০ সালের পর এত খারাপ অবস্থায় পড়েনি পর্যটন। ১৯৫০ সাল থেকে পর্যটনসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করছে ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন।

সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে ২২ শতাংশ। এর মধ্যে মার্চেই কমেছে ৫৭ শতাংশ। এশিয়া ও ইউরোপে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি।

ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের মহাসচিব জুরাব পোলোলিকাশভিলি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে নজিরবিহীন সংকটের সামনে পড়েছে বিশ্ব। এর মধ্যে পর্যটনের ওপর মারাত্মক আঘাত পড়েছে। অর্থনীতির শ্রমঘন এই সেক্টরে লাখো মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে পড়েছে।’

করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিতে পড়েছে এয়ারলাইনসগুলো। বন্ধ রয়েছে হোটেলগুলো। ট্যুর অপারেটররা হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন বলছে, আগামী জুলাইয়ের গোড়া থেকেও যদি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে থাকে তাহলেও আন্তর্জাতিক পর্যটনের অবনমন হবে ৫৮ শতাংশ। বিদ্যমান বাস্তবতায় একে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতি বলা হচ্ছে। আর আগামী ডিসেম্বরের আগে যদি সীমান্ত খোলা না হয়, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তোলা না হয়, সে ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে ৭৮ শতাংশ। অবশ্য এর আগে ২০০৩ সালে সার্সের সময়ও ক্ষতিতে পড়েছিল পর্যটন। তবে সে সময় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কমেছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। সূত্র : এএফপি।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত পর্যটন অর্থনীতি
করোনা শেষে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে

আপনার মতামত লিখুন